অবৈধ ইজারা বাতিলের দাবিতে ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার ৪০ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের শাহবাগ অবরোধ

0
56

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অদ্য  ২৭/০৫/২০২৩ইং ঝিনাইদহ ও যশোর জেলার  বলুহর কেন্দ্রীয় হ্যাচারী কমপ্লেক্স এর আওতাধীন ছয়টি প্রাকৃতিক বাওড় (বলুহর, জয়দিয়া, মরজাদ, বেড়গোবিন্দপুর, কাঠগড়া ও ফতেপুর মৎস্যজীবী অধিবাসীবৃন্দের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র প্রতিষ্ঠান অন্যত্র ইজারা বাতিলের দাবিতে এবং প্রকৃত মৎস্যজীবীর অনুকূলে প্রাপ্তির জন্য ভূক্তভোগী মৎস্যজীবী পরিবারের অন্যতম দলনেতা সুধীর হালদার-এর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় এক মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শেষে শাহবাগ অবরোধ করেন, পরবর্তীতে পুলিশের বাঁধার মুখে ও এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয় প্রায় আধাঘন্টা শাহবাগ অবরোধের পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইজারা বাতিলের ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করলে, মৎস্যজীবীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে জাতীয় জাদুঘর শাহবাগে বিকাল ৫টা পর্যন্ত  অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে আগামীকাল প্রেসক্লাবে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিসহ দুপুর ২ ঘটিকায় পদযাত্রার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা প্রদান করেন। উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), ভক্ত সংঘ সোসাইটি,

বাংলাদেশ হিন্দু মহাসংঘ, সনাতনী স্বেচ্ছাসেবি ফাউন্ডেশন, এইচআরসিবিএম  আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের প্রদীপ দেবনাথ, নরেন বিশ্বাস,হিমেল, নীহার হালদার,রনি রাজবংশী সহ বিভিন্ন মঠ-মন্দীর ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অসহায় মৎস্যজীবীদের উক্ত মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন। মানববন্ধনে বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাধারণ সম্পাদক এড. সুমন কুমার রায় অনতিবিলম্বে  প্রকৃত মৎস্যজীবীদের নিকট বাওড়-এর ইজারা প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এই অবৈধ লিজ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে আইনী লড়াইসহ সকল ক্ষেত্রে তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।মানববন্ধনে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অন্যতম দলনেতা ডাঃ সুনীল হালদার বলেন, এই বাওড়গুলোতে আমাদের পূর্ব পুরুষরা শত শত বছর ধরে মৎস্য আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। এটাই একমাত্র আমাদের জীবিকা নির্বাহের পথ। এই বাওড় অন্যত্র ইজারা দেওয়ায় প্রায় দেড় হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মৎস্যজীবী থালা নিয়ে রাস্তায় ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। আমরা মৎস্যজীবীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রীসহ সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাবো, উক্ত ৪০ হাজার অসহায় মৎস্যজীবীকে বাঁচাতে আপনাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার মিশ্র মহোদয় বলেন, প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বঞ্চিত করে অসাধু ও কালো টাকার মালিকগণ, অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ইজারা পান। এই ভুক্তভোগী জেলে সম্প্রদায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অন্যত্র ইজারা বাতিলের জন্য ১৭১২/২৩ রিট পিটিশন দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইজারাদারগণ ১৬/০৪/২০২৩ইং তারিখে ৬ সপ্তাহ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ পান। পরবর্তীতে এই মামলাটি চূড়ান্ত শুনানীর জন্য আগামী ২৯/০৫/২০২৩ইং দিন ধার্য্য রয়েছে। উক্ত তারিখে স্থগিতাদেশ বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যাতে বাওড়ের ইজারা নিতে পারে তার সুব্যবস্থা করতে মাননীয় প্রধান বিচারপ্রতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।উক্ত মানববন্ধনের সভাপতি ও দলপতি নিত্য হালদার বলেন, শত শত বছর ধরে আমরা সরকারের সাথে সমন্বয় করে বাওড় পরিচালনা করে আসছি। মোট মৎস্য আহরণ এবং বাজারজাত করণে বিক্রয়লদ্ব অর্থের ৬০% সরকার এবং মৎস্যজীবীরা ৪০% পেয়ে আসছে। হঠাৎ করে অন্যত্র প্রকৃত মৎস্যজীবীদের বঞ্চিত করে বাওড় ইজারা প্রদান করায় প্রায় দেড় হাজার পরিবারের ৪০ হাজার মৎস্যজীবী সম্পূর্ণ বেকার হয়ে পড়বে। তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। তাই প্রকৃত মৎস্যজীবীদের হাতে ইজারা প্রদান করতে নতুবা পূর্বের অবস্থায় বাওড় মৎস্যজীবীদের হাতে ফিরিয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে