নিজস্ব প্রতিনিধি:১৯ মে ২০২৩ রোজ শুক্রবার ইকবাল রোডস্থ বায়তুস সালাম জামে মসজিদ কমিটির নেতৃত্বে মসজিদের সামনে একটি মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে মসজিদের ইমাম সাহেবের নেতৃত্বে এবং মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বক্তারা বক্তব্য রাখেন।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে জানা যায় বিগত ৬৩ বছর পূর্বে ১৯৬০ সালে উক্ত মসজিদটি নির্মিত হয়। এখানে ইকবাল রোড, স্যার সৈয়দ রোড, আসাদ এভিনিউ ও শাহাজান রোডের মুসল্লীবৃন্দ নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সহ শুক্রবারের জুমার নামাজ এবং ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহার নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও এই মসজিদে এতিমখানা মসজিদ প্রতিষ্ঠার সময় হতেই পরিচালিত হয়ে আসছে। এই মাদ্রাসায় ১৫০ জন ছাত্র অধ্যায়ন করে এবং প্রতিবছর প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন কোরআনের হাফেজ হয়।
মাদ্রাসার পড়াশোনার মান ভালো হওয়ায় দিন দিন ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে পূর্বের টিনশেডের ভবনটি ভেঙে একটি নতুন ভবন নির্মাণ শুরু করেন।নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর পর কোন একটি পক্ষ ১৪৫ ধারা জারি করে তাহাদের কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় যে, ১৯৭৮ সালে তৎকালীন সরকারের একজন মন্ত্রী আতাউদ্দিন খান এবং অপরজন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সুলতান আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই মসজিদের জায়গার ভিতরে ১২.৫ কাঠা করে দুইটি প্লট বরাদ্দ করিয়া নেয়।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে অবৈধ বরাদ্দ আতাউদ্দিন খান জিতের জায়গা দখল করতে আসলে এলাকার জনগণের প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়ে মসজিদের জায়গা দখল করার মত এই নিকৃষ্ট কাজ থেকে নিজেকে নিভৃত করেন।
পরবর্তীতে সুলতান আহমেদের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশগণ জসিম নামের একজন ব্যক্তিকে প্রদান করেন। এই গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর জমিতে তারা দখলে আছে এমন ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন। এই ভুয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে অবৈধ ভাবে নামজারি করিয়া নেয়।
ইকবাল রোডস্থ বাইতুস সালাম জামে মসজিদ ১৯৬০ সাল থেকেই প্রতিষ্ঠিত থাকায় এবং হুকুম দখল আইন মতে মসজিদ তখন নিষিদ্ধ হয় সরকার মসজিদের জায়গা খিত রেখে বহু জমি হুকুম দখল করে। ১৯৬২ থেকে ৬৩ সালে কালীন সরকার কর্তৃক প্রণীত আর প্রাণীর নকশায় “এম” চিহ্নিত করে ৫২.৩৫ কাঠা জায়গা ৩/১১-এ ইকবাল রোড প্লট হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। মসজিদের অন্যান্য সংরক্ষিত জায়গা সরকার কর্তৃক পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে প্রকাশিত রেকর্ড সব সময় মসজিদ শ্রেণী হিসেবে উল্লেখিত ছিল মন্তব্য হিসাবে ধর্মীয় কাজের জন্য বলা ছিল।
এমতোবস্থায় মসজিদ কমিটির লোকসহ স্থানীয় লোকজন যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমস্যার সমাধান কামনা করে।