তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে

0
34

নিজস্ব প্রতিনিধঃ সরকারের জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এরই অংশ হিসাবে তামাক নিয়ন্ত্রণেও গণমাধ্যম্যম কর্মীদের ধারাবাহিক উদ্দোগ এই কাযর্যক্রমকে একটি সামাজিক আন্দোলনে রুপ দিয়েছে। এই আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের সহযোগিতার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আজ ১২ এপ্রিল ২০২৩ বুধবার সকাল ১১.০০টায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে “তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় প্রত্যয় তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের মূল শক্তির জায়গা। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো নানা বিভ্রান্তিকর প্রচারণা এবং এর স্ব-পক্ষে একাধিক যুক্তি উপস্থাপন করছে। এমনকি সাধারণ জনগন, গণমাধ্যম ও সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায়েও তারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীগণ আরো তথ্যবহুল ও গবেষণাধর্মী লেখনীর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা ও কোম্পানির মিথ্যাচার সংক্রান্ত বিষয়গুলো সরকার ও সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেন।

সভায় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট অফ সেলে ই-সিগারেট ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে যা তরুণ প্রজন্মকে ব্যপকভাবে আকৃষ্ট করছে। এছাড়া, ইউটিউব ও বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত নাটক, সিনেমায় তামাকজাত দ্রব্যের অহেতুক ব্যবহার আদতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের-ই সামিল। এ বিষয়ে মনিটরিং বৃদ্ধি করা জরুরী। যত্রতত্র তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় হ্রাস করতে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় বিক্রেতাদের জন্য লাইসেন্সিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা সম্ভব হলে তামাকের বিক্রয় ও ব্যবহার অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া গণমাধ্যমকর্মীরা তামাক নিয়ন্ত্রণে আরো নির্ভরযোগ্য ও গবেষণালব্ধ তথ্য প্রেরণের জন্য আহবান জানান।

সভার সভাপতি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম কর্তৃক প্রচারিত তথ্য সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারনী পর্যায়েও সহজে পৌঁছে যায়। এই শক্তিকে ব্যবহার করেই আমাদের দেশের চিকিৎসা নির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রোগ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রুপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে তুলে ধরা সম্ভব। এই লক্ষ্যে গণমাধ্যমসহ সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অত্যাবশ্যক। স্বাস্থ্য কেবলমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয় বরং প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পৃথক পৃথক দায়ভার রয়েছে ।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মিডিয়া কর্মকর্তা নাজমুন-নাহারের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান। সভায় সমকাল, ঢাকা পোষ্ট, প্রতিদিনের সংবাদ, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক কালবেলা, ঢাকা মেইল, ভোরের ডাকসহ জনপ্রিয় সংবাদপত্রের প্রতিনিধিবৃন্দসহ একাধিক জনস্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত ছিলেন।।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে