লাগাতার কর্মসূচীর ৩৯তম দিনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি

0
58

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির ৩৯তম দিনে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীগণ এসে অবস্থান নেন। প্রেসক্লাবের সামনে ধুলোবালি, বৃষ্টি ও কাদার মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দীর্ঘদিন লাগাতার অবস্থান করে সহ¯্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। ইতিমধ্যে দুইজন শিক্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

জোটভুক্ত সংগঠন সমূহের প্রায় সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কর্মসূচি চালানো ক্রমান্বয়ে কষ্টকর হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ ৩৯ দিন ধরে অবস্থান ও প্রতীকি অনশন কর্মসূচি এবং ১২ থেকে ১৬ মার্চ এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে তিন ঘন্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে। লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী পর্যায়ক্রমে প্রেসক্লাবের সামনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে। পবিত্র রমজান উপলক্ষে কর্মসূচির কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। দীর্ঘ কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দাবিসমূহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টেবিল পর্যন্ত পৌছাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিশ্বাস আগামী বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের সুষ্পষ্ট ঘোষনা থাকবে। উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারিগণ বলেন দীর্ঘ ৩৯ দিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন জাতির জনক জীবিত থাকলে শিক্ষকগণের রাজপথে অবস্থান করতে হত না। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেন অধ্যক্ষ থেকে কর্মচারী পর্যন্ত নামমাত্র ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫% উৎসব ভাতা পাবেন।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ জরুরী। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে সবচেয়ে বেশী লাভবান হবেন গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর বাস্তবায়িত হবে। মেধাবীরা এ পেশায় আসবে ফলে স্বল্প খরচে সকল নাগরিক একই মানের মানসম্মত শিক্ষা পাবে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস পাবে, প্রতিষ্ঠানের ফান্ডে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের নিয়ন্ত্রনে আসবে ফলে অবচয় ও দুর্নীতি রোধ হবে। বিনিময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ চাকরির নিশ্চয়তা পাবেন। অভিভাবকগনের শিক্ষা ব্যয় অনেক কমবে, শিক্ষায় কাঙ্খিত পরিবর্তন আসবে।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণে প্রয়োজন শুধু সরকারের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু নীতিমালা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন ও টিউশন ফি বাবদ যা আয় হয় তার যথাযত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই ভর্তুকী ব্যতিরেকেই জাতীয়করণ সম্ভব। উপস্থিত শিক্ষক-কর্মচারিগণ জাতীয়করণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থানের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অধ্যক্ষ মোঃ মাঈন উদ্দীন, উপাধ্যক্ষ মোঃ আবদুর রহমান, জনাব জসিম উদ্দিন আহমেদ, মোঃ শাহ আলম, মোঃ আবুল বাশার, মামুনুর রশীদ, আফজালুর রশিদ, মহসিন আলী, ঝর্ণা বিশ্বাস, এস.এম ফরিদ উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, এমদাদুল হক প্রামানিক, তোফায়েল সরকার প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে