নিজস্ব প্রতিনিধি:রবিবার সকালে ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক পার্টি’র পক্ষ থেকে সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতি সৌধে স্বাধীনতা আন্দোলনে নিহত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এস এম আশিক বিল্লাহ, বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. শরিফুল ইসলাম, ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ ফরহাদ,
কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এনায়েত হোসাইন ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মোসা. আমেনা খানম, ঢাকা মহানগর ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য মো. সেলিম মিয়া, সাভার উপজেলা ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মোছা. মিনা আক্তার ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. নাজিম ফকির, সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেন ও মোছা. সাবিনা খাতুন সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।ডেমোক্রেটিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এস এম আশিক বিল্লাহ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তার বক্তব্যে বলেন ১৯৪৮ সালে সর্বপ্রম ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তানী শাসকের সঙ্গে বাংলা ভাষার সপক্ষে প্রথম সূচনা সভা হয় ঢাকার পাবলিক লাইব্রেরীতে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী। বঙ্গবন্ধু সেখানে ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানী বিজয় লাভ করেন। ১৯৫৮ সালে আয়ুব শাহী সামরিক জানতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আরমানী টোলা মাঠে ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী তাকে আগরতলা মামলায় গ্রেফতার করেন। ১৯৭০’র নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন। পরবর্তী পর্যায়ে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বিভিন্নভাবে টালবাহানা করেন। ১৯৭১ কে ৩রা মার্চ কে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন শাজাহান সিরাজ। সেখানে বঙ্গবন্ধু প্রধান অতিি ছিলেন। ধাপে ধাপে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে স্বাধীনতার ঘোষণার ইঙ্গিত দেওয়া হয়, বঙ্গবন্ধু বলেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকেন। ১৯৭১ সনের ২৩ মার্চের স্বাধীনতার সংগ্রামকে চূড়ান্ত পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল রাজনৈতিক জোটগুলো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ছিল।
১৯৭১’র ২৫ শে মার্চ রাত ১২টার পর অতর্কিত পাকিস্তানী পাক বাহিনী বাঙালির উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন ২৫ মার্চের ১২.০১ মিনিটে। এরপর তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী তাকে গ্রেফতার করে। আজকের এই ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে আমার ডেমোক্রেটিক পার্টির সকল জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্য ও আগামীতে সাংবিধানিক অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রত্যাশা করি। বিশ্বনন্দিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাসকে অবগত করার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি এবং ১৯৭১ এ কালোরাত্রী ২৫ শে মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।