২৫ মার্চ, শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে ত্রাসসৃষ্টি ও নারায়ণগঞ্জে নাবালিকা সোনালী রানী দাস (১৪) কে অপহরণের প্রতিবাদে এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, সংখ্যালঘু কমিশন গঠনসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধসহ ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ, হিউম্যান রাইট্স এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি এড. রবীন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ফোরামের সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার, হিউম্যান রাইট্স এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক, এড. জগদীশ সরকার, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড বাসুদেব গুড়, বাংলাদেশ হিন্দু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (নংঢ়)এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায়, প্রচার সম্পাদক গৌতম মন্ডল, মানবাধিকার কর্মী দিলিপ দাসগুপ্ত সহ বিভিন্ন সংগঠন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্যকালে বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি এড. রবীন্দ্র ঘোষ বলেন সারা বিশ্বে সত্যিকারের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সেখানেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অগ্রগন্য ভূমিকা রাখতে হবে। তাই বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ ও সমমনা সংগঠনগুলো বিশ্বাস করে, সহায়ক পরিবেশ ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানবাধিকারের কর্মকান্ড সঠিক দক্ষতা আরো বৃদ্ধি হলে সমাজ পরিবর্তনের দূত হিসেবে অনেকেই কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে।আমি ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে ও নির্যাতন বন্ধে এ যাবৎ কয়েক হাজার ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমদেরকে আইনি সহায়তা দিয়েছি তদন্ত করেছি এবং তাদের পাশে থেকে কাজ করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য আজ অব্দী নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু কমেনি একটুও তাই বর্তমান সরকারের কাছে দাবি করব নির্যাতন বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের এবং আমাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে তা পূরণ করার।মানবাধিকার কর্মী গৌতম দাস বলেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজ কৃর্তক
বিগত ১৮ মার্চ হিরোক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে খাসির মাংসের পরিবর্তে গরুর মাংস পরিবেশন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং অনতিবিলম্বে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।বক্তব্যকালে সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, “প্রতিটি স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সব অধিকার পাওয়ার যোগ্যূ। এটি তাদের বসবাসের স্থান, বর্ণ, গোষ্ঠী, ধর্ম, সামাজিক উৎপত্তি, লিঙ্গ, যৌন পরিচিতি, রাজনৈতিক অথবা অন্য মতামত, প্রতিবন্ধিতা বা উপার্জন অথবা অন্য যেকোন অবস্থান নির্বিশেষে প্রযোজ্য”। কিন্তু সে অধিকার থেকে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত হয় মানুষ্অ্যা ড. সুমন কুমার রায় বলেন, আমাদের দেশে সম্প্রতি পূজামন্ডপে হামলাসহ দেশে বিভিন্ন স্থানে একের পর এক সংখ্যালঘু নির্যাতন ঘটে গেছে তা বন্ধে সরকারকে আরো সচেষ্ট হতে হবে।
যে কোন মূল্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের যা যা করার দরকার তা তা করতে হবে। সমমর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার বন্ধ পরিকর। তাই সরকার তার পবিত্র দায়িত্ব পালন করবে এটাই চায় বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের সচেতন নাগরিকরা। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো সরকার ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার একটি ঘটনারও সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার করে নাই যা দু:খজনক। যার কারণে প্রতিনিয়ত একটি ঘটনা ঘটে চলেছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।