নিজস্ব প্রতিনিধি:চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার পাথৈর গ্রামের ফোরকানিয়া মাদরাসাটি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যেমে ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা সাজিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সরকারের চোখে ধুলা দিয়ে শিক্ষকদের নামে প্রায় ৫ লাখ টাকা বেতন নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্রের মূল হোতা সহ-সভাপতি মতিউর রহমান পাটোয়ারিগং । এই প্রতারকচক্র শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ও শিক্ষা বোর্ডের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়মিত ঘুষ দিয়ে মিথ্যা জাল জালিয়াতি কাগজের মাধ্যম মাদাসাটিকে এমপিওভুক্তও করেন।২২ মার্চ (বুধবার) জাতীয় মাওলানা আকরম খাঁ হলে আব্দুল মান্নানসহ ঐ এলাকার স্থানীয় লোকজন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।\
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, চাঁদপুর জেলা শাহরাস্তি থানার পাথৈর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির নামে কোন জমি, কাঠামো, ছাত্র নাই তবুও এমপিওভুক্ত। মাদ্রাসা করা ও এমপিওভুক্তির জন্য সরকারী নীতিমালা মতে ১ একর জমি বাধ্যতামুলক। যার ফলে প্রতারকচক্র আমাদের রেকর্ডীয় ৩.২৮ একর জমি জাল দলিল করে বোর্ডে জমা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করে ১ যুগেরও বেশী সময় ধরে সরকারের চোখে ধুলা দিয়ে বেতন ভাতা উত্তলোন করে আসছে। উক্ত জমির জাল দলিল বাতিলের জন্য চাঁদপুর বিজ্ঞ জেলা যুগ্ম জজ আদালতে মোকদ্দমাটির ২২৭ বার হাজিরা ও ৪০ বার আরগুমেন্ট হয়েছে। মোকদ্দমাটিতে প্রতারকচক্র ৫০ বারের বেশি উকিল দ্বারা সময় নিয়েছে। মোকদ্দমাটির অতিদ্রুত নিস্পত্তি ও এমপিওভুক্ত বাতিলসহ প্রতারকচক্রটিকে গ্রেফতার করার নির্দেশ প্রদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও ভূমিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
অভিযোগে বক্তারা বলেন, চাঁদপুরের পাথৈর গ্রামের নিবাসী শ্রী হেমন্ত কুমার ভট্রচার্যের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় সে তার ভোগ দখলকৃত ৬৯০ একর জমি থেকে ৪৬৫ দাগহতে ০.০৪ শতক জমি ফোরকানিয়া মাদরাসার নামে ১৯৭৮ ইংরেজী সালে ২৭ সেপ্টেম্বর প্রদান করা হয়; যার দলিল নং ২৭২৪ এবং ০.০২ শতক জমি পাথৈর সমাজ কল্যাণ সমিতির নামে দান করেন যার দলিল নং ২৭২৫।
অন্যদিকে ২০ মার্চ ১৯৮০ ইংরেজী সালে ঐ ৪৬৫ দাগেরই .১৫ শতক জমি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পন বিভাগের নামে দানপত্র করে দেন, দলিল নং ১৫৪১। শাহরাস্তি উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা দপ্তর ৫৫ হাজার টাকা খর চকরে চিতোষী ইউনিয়ন ভিলেজ সেন্টার এর দুইটি কক্ষ তারা নির্মাণও করেন; যার বিএস খতিয়ান নং ৩ জমির পরিমাণ ঐ .১৫ শতক। এরমধ্যে মাওলানা মো. আলী আকবর ও তার ভাতিজা আবু নোমান মো. ইউসুফ ভুইয়া ফোরকানিয়া মাদরাসাকে মিথ্যা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় রূপান্তর করার জন্য প্রতিবেশী সোলায়মানের ১৮ শতকজমি, দলিল নং ৫১৭১, ২০ মে ১৯৭৮ সালে মিথ্যা জাল দলিল করেন। যা জমির মালিক জানতে পেরে পার্শ্ববর্তী চেড়িয়ারা গ্রামের নিবাসী হারুন-অর-রশিদের কাছে বিক্রি করেন। এতে পাথৈরই সলামিয়া দাখিল মাদরাসার নামে আর কোন জমি থাকে না। শ্রী হেমন্ত কুমার ভট্রচার্য মাদরাসার ও সমাজ কল্যাণের এবং পরিবার পরিকল্পনা নামে বিনামূল্যে সম্পত্তি দান করেন। তারই স্ত্রী শ্রী মতি কিরণ বালার নামে থাকা সম্পত্তি থেকে মতিউর রহমান পাটোয়ারী গোপনে ৩.৭২ একর জমি ঐ ফোরকানিয়া মাদরাসার সেটকে মিথ্যা ভাবে পুনরায় ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভুয়া জাল দলিলটি মাদরাসা বোর্ডে দাখিল করেন। ১৯৭৯ ইংরেজী সালে হাজিগঞ্জ এস আর অফিস থেকে জানা যায় ৮১৯১ নং দলিল মূলে ৪৬৩/৪৬৪/৪৬৫ দাগের ৩.২৮ একর জমি ইসলামিয়া দাখিল মাদরসার নামে মিথ্যা জাল দলিল রেজিস্ট্রি করে।
সামাজিক লোকজন বিচার সালিশী করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ফেরত দিতে বলে।সালিশীর রায়েরপরিপেক্ষিতে মাদরাসার সেক্রেটারি আব্দুল হাই পাটোয়ারী শ্রীমতি কিরণ বালার নামে গত ৩০ মে ১৯৮৩ ইংরেজী সালে কিরন বালার বৈধ সম্পত্তি বলে ফেরত দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। যার ফলে ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার নামে আর কোন সম্পত্তি রইলো না। কিন্তু ফোরকানিয়া মাদরসার নামে হেমন্ত কুমারের দান করা মাত্র ০.০৪ শতকই জমি আছে। কিন্তু মাদরাসার শিক্ষকগণ মিথ্যা বানোয়াট ভাবে ঐ জাল দলিল বোর্ডে দাখিল করে তাদের প্রতারক সিন্ডিকেট দল মনগড়া কমিটি করে প্রতি মাসেই সলামিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষকদের নামে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বেতন ভাতাসহ নানান ধরনের উৎসব ভাতাসহ ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পাথৈওে কোন ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার অবকাঠামো পর্যন্ত নাই।