নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন

0
41

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৮/০৩/২০২৩ ইং তারিখ শনিবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায়  বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর হল রুমে  বাংলাদেশ  সনাতন পার্টি (ইঝচ) এর উদ্যোগে  অবাধ,  সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, সুষ্ঠু  গণনা ও ফলাফল ঘোষণা এবং  নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব  করেন,  বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (ইঝচ)-এর সম্মানিত  সভাপতি আশীষ কুমার দাশ। অদ্যকার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকে একাত্মতা প্রকাশ  করেন, সাবেক ডাকসু ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (ইঝচ)-এর সহ-সভাপতি-অ্যাড. লিটন বনিক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায়, সহ-দপ্তর সম্পাদক সুজিত দাস, কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য বিকাশ অধিকারী, ডাঃ ক্ষীতিশ রায়, অমিত কুমার বর্মন, কমল পাল, জয় চক্রবর্তী, সবুজ বৈরাগী প্রমুখ বক্তরা। গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু বলেন যে, ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অত্যাচার ও নির্যাতনের একটি ঘটনারও সুষ্ঠ তদন্ত ও সুষ্ঠ বিচার করে নাই। আমি মনে করি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল অত্যাচার ও নির্যাতনের বিচার হওয়া উচিত। এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগে নির্বাচনের ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু প্রণয়নের কথা বললেও তারা তাদের কথা রাখে নাই। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করে।

বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (ইঝচ)-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুমন কুমার রায় বলেন, প্রতিটি নির্বাচন এলে সনাতনী সম্প্রদায় অজানা আতংকের মধ্য দিয়ে দিন কাটে। সনাতনী সম্প্রদায়ের কাছে নির্বাচন  মানে  নির্যাতন। যে দল  বিজয়ী আর যে দলই পরাজিত হোক না কেন, সকল ক্ষোভ রাগ ও নির্যাতনের বারবার বলি হতে হয় সনাতনী সম্প্রদায়কে। প্রবাদ আছে, ‘‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় নল-খাগড়ার প্রাণ যায়’’। বাংলাদেশে সনাতনী সম্প্রদায়ের অবস্থা এখন নল-খাগড়ার মত। সনাতনী সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক কোন প্রকৃত অভিভাবক না থাকায় এতদিন পর্যন্ত তারা রাজনৈতিক বলির পাঁঠা হয়ে আসছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতন, জমি দখল ও নীপিড়নের ক্ষেত্রে সকল দল এক কাতারে সামিল হন তখন কাউকেই পাশে পাওয়া যায় না। আগামী দিনে বাংলাদেশ সনাতনী পার্টি (ইঝচ) বাংলাদেশের সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রকৃত অভিভাবক হিসেবে রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় বৈষম্য নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। ভবিষ্যতে কোন রাজনৈতিক দল সনাতনী সম্প্রদায়কে যাতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে  ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (ইঝচ)- সনাতনী সম্প্রদায়কে  সচেতন ও সজাগ করতে  গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সহ-সভাপতি এড. লিটন বনিক বলেন, সারাদেশে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চলছে। ২০০১ সাল হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সংঘটিত সকল সাম্প্রদায়িক হামলার সুষ্ঠু বিচার এবং ২০০১ সালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের পরবর্তী সময় গঠিত শাহবুদ্দীন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু  কমিশন আইন বাস্তবায়নের জোর দাবী জানাই।বাংলাদেশ  সনাতনী পার্টি (ইঝচ) -এর সভাপতি আশীষ কুমার দাস বলেন যে, নির্বাচন  পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন বন্ধে, রাজনৈতিকভাবে ধর্মীয় সংখালঘুদের ক্ষমতায়ন অত্যন্ত জরুরী। সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়নের  পাশাপাশি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দলীয়  মনোনয়ন বৃদ্ধি এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য মহান জাতীয় সংসদে জনসংখ্যা অনুপাতে  সংরক্ষতি আসন ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।  পরিশেষে বক্তাগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, সুষ্ঠু গননা ও ফলাফল ঘোষনা, নির্বাচন পূর্ববর্তী  ও পরবর্তী সময়ে  সংখ্যালঘু  সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে  নির্বাচন কমিশন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের  প্রতি সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি(ইঝচ)-এর পক্ষ থেকে উদাত্ত আহবান জানানো হয়। 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে