এমপির বিরুদ্ধে লাইভে কথা বলায় এক রাতে ০৪ মামলা দাবি স্ত্রীর

0
173

ফেসবুক লাইভে বক্তব্য দেওয়ায় ভোলার লালমোহনের ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন উত্তর যুবলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি বাবুল হাওলাদারকে কুঞ্জের হাট তার এক আত্মীয়র বাসা থেকে পুলিশে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সাথী। গত ৬ মার্চ রাতে তিনি লাইভে বক্তব্য দেন বলে জানান স্ত্রী সাথী।

গণমাধ্যমের কাছে এমন অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সাথী। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধর করায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বলেও উল্লেখ করেন তার স্ত্রী। পরবর্তীতে রাত ৩ টার পরে তাকে লালমোহন থানায় নেওয়া হয় এবং ৪টি মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হয়।বাবুল হাওলাদারের স্ত্রীর দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন উত্তর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা বাবুল ভোলা জেলার আওয়ামী লীগ নেতাদের স্নেহভাজন এবং ধলীগৌরনগর ইউনিয়নসহ সমগ্র লালমোহন উপজেলায় তিনি জনপ্রিয়। স্থানীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সঙ্গে তার মতের অমিল হওয়ায় দূরত্ব সৃষ্টি হয়। ফলে যুবলীগ সভাপতির পদও তাকে হারাতে হয়।

প্রসঙ্গত, বাবুল হাওলাদার লাইভে আসেন ৬ মার্চ রাত ১১.৪৪ মিনিটে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয় ১.৩০ মিনিটে। মাদকের মামলা দেওয়া হয় ৩.৩৫ মিনিটে।এদিকে লালমোহন থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, রোকেয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা মা তার সন্তান বাবুল হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভরণ-পোষণ না দেওয়া এবং বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের অভিযোগে এজাহার দায়ের করেন। যার কারণে পুলিশ বাবুল হাওলাদারকে আটক করেছে।

এজহারের বিষয়ে বাবুল হাওলাদারের মা বলেন, আমাকে টাকার প্রলোবন দেখিয়ে আর ভরনপোষণ এর আশ্বাস প্রদান করে আমাকে দিয়ে জোর করে মামলা করানো হয়েছে।উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করলে বাবুল টিভিতে লাথি মেরে টিভি ভেঙে ফেলে। সেই ঘটনায় তৎকালীন সরকার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করে এবং তিনি দীর্ঘ ২৩ মাস কারাবরণ করে। ২০০১ পরবর্তী সময়ে সারা দেশে যখন বিএনপি জামাতের নির্যাতনের শিকার হন বাবুল হাওলাদার। একাধিক বার হামলার শিকার হন। তখন ৭ মাস ১৩ দিন কারাবরণ করেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে