রুপসীবাংলা৭১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রাইভেট কারের নিচে নারীকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চালক আজহার জাফর শাহ পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনায় নিহত নারী রুবিনা আক্তারের (৪৫) ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। আজ শনিবার তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চালক আজহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি চাকরিচ্যুত হন। মরাধরে আহত হওয়ার পর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে রুবিনা আক্তারের ভাই জাকির হোসেন সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেছেন। রুবিনাকে গাড়ির নিচে টেনে নেওয়া চালক আজহার জাফর শাহকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।

গতকাল দেবর নুরুল আমিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে রুবিনা আক্তার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে হাজারীবাগে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বিপরীতে টিএসসি অভিমুখী সড়কে একটি প্রাইভেট কার পেছন থেকে তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে নুরুল আমিন মোটরসাইকেলসহ এক পাশে ছিটকে পড়েন। রুবিনা গাড়ির নিচে চাপা পড়েন।এ সময় গাড়ির বাম্পারে তাঁর পোশাক আটকে যায়। চালক গাড়ির নিচে আটকে যাওয়া রুবিনাকে নিয়ে বেপরোয়া গতিতে টিএসসি হয়ে নীলক্ষেতের দিকে যান। নীলক্ষেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তোরণের কাছে গাড়িটি আটকে রুবিনাকে জীবিত উদ্ধার করেন পথচারীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। গতকাল বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পথচারীরা যখন রুবিনাকে উদ্ধার করেন, ততক্ষণে গাড়ির সঙ্গে তাঁর আটকে থাকা দেহটি টেনে চালক এক কিলোমিটারের বেশি পথ চলে গেছেন। এতে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এ সময় টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত সড়কের কোথাও কোথাও তাঁর দেহের পড়ে থাকা অংশ দেখা যায়।নীলক্ষেত এলাকায় গাড়ির চালক আজহার জাফর শাহকে আটক করে মারধর করেন পথচারীরা। গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।