প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের ধ্বংস করে খামার বন্ধ করতে বাধ্য করছে কর্পোরেট কোম্পানীগুলো সুমন হাওলাদার

0
94

রুপসীবাংলা৭১

পিরোজপুর প্রতিনিধি :কর্পোরেট কোম্পানীদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে স্বেচ্ছায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে প্রান্তিক খামারীরা। প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদনকে টিকিয়ে রাখা না যায় একচটিয়া হয়ে পরবে ডিম ও মুরগির বাজার। প্রান্তিক খামারীরা একটি ডিম উৎপাদন করতে খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে একটি ডিম ৭.৫০ পয়সা থেকে ৮ টাকার মধ্যে। এক কেজি বয়লার মুরগি বর্তমান উৎপাদন খরচ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

খামারী মূল্য পাচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। খামারীদের উৎপাদিত একটি ডিমে ৩ টাকা এবং এক কেজি ব্রয়লার মুরগিতে ২৫ টাকা লোকশান হচ্ছে। দিন দিন মুরগির বাচ্চার দাম ও ফিডের  মেডিসিনের দাম এবং ডিম ও মুরগির বাজার কর্পোরেট কোম্পানীদের ইচ্ছায় বারে এবং কমে। যখন খামারীদের কাছে উৎপাদিত ডিম ও মুরগি থাকে তখন কর্পোরেট কোম্পানী এস এম এস এর মাধ্যমে কম দেয় তাদের পণ্য বিক্রয় করার জন্য। যখন খামারীদের উৎপাদিত পণ্য কম থাকে তখন তারা বাজার সিন্ডিকেট করে শত শত কোটি টাকা ভোক্তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেয়। কর্পোরেট কোম্পানীর স্বেচ্ছাচারীতায় ফিড ও বাচ্চার দাম অনিয়ন্ত্রিত বাড়ার কারণে প্রতিনিয়ত লোকশান গুনতে হচ্ছে।

তাই প্রান্তিক খামারীরা ডিম পাড়া মুরগি বিক্রি করে দিয়ে এবং ব্রয়লার খামারীরা লোকশান গুনতে গুনতে তারা ঋণগ্রস্থ হয়ে খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন। এর ফলে দিন দিন ডিম ও মুরগি উৎপাদন কমে যাচ্ছে। এখনই প্রয়োজন প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদনকে ধরে রাখতে হবে যাতে করে বাজারে কোন প্রভাব না পরে এবং আমিষের ঘাটতি না দেখা দেয়। কারণ প্রান্তিক খামারীরা এদেশের আমিষের চাহিদা পূরণ করছে। তাই এদেরকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে লোনের ব্যবস্থা, সরকারের বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতার মাধ্যমে খামারীদের টিকিয়ে রাখতে হবে। কর্পোরেট কোম্পানীদের তদারকি করে ডিম ও মুরগির বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে প্রান্তিক খামারীদের উৎপাদনকে ধরে রাখতে হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে