
রুপসীবাংলা৭১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মিছিলে গুলি করে হত্যা, রেলক্রসিং-এ দুর্ঘটনা, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, দুর্বিষহ লোডশেডিং’ এর প্রতিবাদে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রেসক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ।সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার বলেন, বিরোধীমত দমনের জন্য আওয়ামীলীগ সরকার যা করছে তা এ দেশের মানুষ তা আর সহ্য করবে না। গত একযুগ মানুষকে কথা বলতে দিতে চায়নি সরকার। সমস্ত ভয়ভীতি ভেঙে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। গুলি করে হত্যা করে, বা অপর কোনো পদ্ধতিতেই মানুষের এই রাস্তায় নামা আর ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। আওয়ামীলীগের উচিৎ এ মুহূর্তে ক্ষমতাত্যাগ করা। এই অবৈধ সরকারের পতনের জন্য নাগরিক ঐক্য তার রাজপথের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।
নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবীর হাসান বলেন, সারাদেশে লোডশেডিং হচ্ছে, এই নিয়মের তালিকায় গণভবনের নাম নেই কেন? দুর্নীতি, লুটপাট করে আওয়ামীলীগ সরকার আজ দেশকে বড় আর্থিক সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। মানুষকে সিঙ্গাপুরের স্বপ্ন দেখিয়ে শ্রিলংকা বানিয়েছে ওরা। আজ আইএমএফ জানায়, আমাদের রিজার্ভের হিসাব ঠিক নেই। এটি নেমে গেছে ৩২ বিলিয়ন ডলারের কাছে। কুইক রেন্টালের নামে বড় দুর্নীতি হয়েছে। এখন দেশে বিদ্যুৎ নেই। মানুষ বিদ্যুতের দাবিতে, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে মিছিল করলে গুলি করছেন, আব্দুর রহিমরা মারা জীবন দিয়েছেন, কিন্তু মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কোনো কিছুতেই এই বিক্ষুব্ধ মানুষকে আর রুখতে পারবেন না। এর ভয়াবহ ফল দেখার জন্য ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে অপেক্ষা করছে আওয়ামীলীগ।
নাগরিক ঐক্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজা, স্বপ্না আক্তার, নাগরিক যুব ঐক্যের সভাপতি ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক খলিলুর রহমান, শামীম আহাম্মেদ, নাগরিক ছাত্র ঐক্যে সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক এম এ আলিফ প্রমুখ।এ সময় নাগরিক ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে কদম হয়ে তোপখানা রোডের নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ করেন।