স্টাফ রিপোর্টঃ জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী সকল সরকারী অফিস স্বায়ত্ব শাসিত অফিস, সকল গাড়ীতে এসি বন্ধ ও সকল শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য ১০ জনের মন্ত্রী সভা করার দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ২৯ জুলাই সকাল ১২:০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল
বক্তব্য রাখেন- ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম.এ ভাসানী, বাংলাদেশ ন্যাপের সহ সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, নাগরিক কল্যাণ পার্টির সাধারণ সম্পাদক শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাদ দিপু মীর, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ উন্নয়ন পার্টির সভাপতি সৈয়দ মোখলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, বরিশাল বিভাগ সমিতির সদস্য মুকিম হক, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।
সভাপতির ভাষনে এম এ জলিল বলেন- জ্বালানী বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না এবং ক্ষনিতেও পাওয়া যায় না। সেই কারণেই বৈদেশিক মুদ্রা দ্বারা বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। বর্তমানে কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের জন্য বিশ্ব বাজারে মন্দা দেখা দিয়েছে। এই কারনেই বাংলাদেশেও জ্বালানীর অভাব হয়েছে বিদুৎ উৎপাদন কমে গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বার বার বলেছেন বিদ্যুৎতের সাশ্রয় করতে হবে। সেই কারণেই আজকের মানববন্ধন থেকে আমাদের দাবী সকল সরকারী আধাসরকারী সায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠানে এসি বন্ধ করতে হবে। সকল প্রকারে গাড়ীর এসিও বন্ধ করতে হবে। এই করার মাধ্যমেই বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত থাকবে এবং শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে হবে। জ্বালানী সাশ্রয়ের লক্ষ্যে এত বড় মন্ত্রী সভা নয়। ১০ জনের একটি ছোট মন্ত্রী সভায় পারে দেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধ বজায় রাখতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের জোর দাবী কৃষি উৎপাদন দিগুনের লক্ষ্যে ৪ কোটি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান দিতে হবে। সেই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রতিটি যুবককে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ দিতে হবে সহজ সত্ত্বে স্বল্প সুদে। আগামী দিনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার নেতৃত্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে বাংলাদেশের ভূমি সংস্কার করতে হবে। নদী ভাংগন রোধ করতে হবে বন্যা নিয়ন্ত্রন করতে হবে ও দক্ষিণ অঞ্চলের জলোচ্ছাস নির্মুল করতে হবে। তবে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাংলাদেশ এবং আপনার আকাঙ্খিত উন্নত পরিবেশের দারিদ্র মুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ।