নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পাবনা জেলাধীন আতাইকুলা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধন ২৪ জুলাই ২০২২ রবিবার, সকাল: ১১.০০টায়, জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মুখ প্রাঙ্গণ। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা: আজকের এ মানববন্ধনের মাধ্যমে আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৮ মার্চ ২০০১ ইং ৪ চৈত্র ১৪০৭ এ আতাইকুলা থানা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পাবনা জেলার ১. সাঁথিয়া উপজেলাধীন (ক) আর-আতাইকুলা, (খ) ভুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন, ২. পাবনা সদর উপজেলাধীন (ক) আতাইকুলা, (খ) সাদুলল্লাপুর ইউনিয়ন ও আটঘড়িয়াধীন (ক) লক্ষীপুর ইউনিয়ন সর্বমোট পাঁচটি ইউনিয়নের সমন্বয়ে আতাইকুলা থানা গঠিত হয়। আতাইকুলা পাবনা জেলার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জনপদ, শত শত বছর পূর্ব থেকেই পাবনা জেলার গুরুত¦ বহন করে চলেছে । পবনা জেলার প্রানকেন্দ্র ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা যাতয়াতের জন্য চতুরমূখী রাস্তার সংযোগ স্থল এই আতাইকুলা। মুক্তিযুদ্ধে আতাইকুলার এলাকার জনগন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে “ প্রশাসনিক পূনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (নিকার)” সভায় অনেক থানাকে গুরুত্ব প্রদান করে উপজেলা বাস্তবায়ন করা হয়েছে । কিন্তু এই জনগুরুত্বপূর্ণ থানাকে আজ অবধি উপজেলা বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা‘র দৃষ্টি আকর্ষণ পুর্বক উপজেলা ঘোষনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবীতে আজ এ মানববন্ধন। আতাইকুলা থানার ভোটার সংখ্য ১৩৩৩৮১জন এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩৫৬৬৪২ জন। যা উপজেলা বাস্তবায়নের অধিকাংশ শর্তাবলী প্রতিপালিত হয়েছে। এই অবহেলিত জনগুরত্বপুর্ণ জনপদ যদি উপজেলা বাস্তবায়ন হয় তবে এই এলাকার জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা বেগবান হবে। থানাটি তিনটি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত হওয়ায় সংসদীয় আসন পাবনা-১, ৪ ও ৫ এর অধিনে অবস্থান বিধায় প্রশাসনিক জটিলতায় জনগনের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দুর্ভোগ লাঘবের স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উত্তর জনপদের গুরুত্বপূর্ণ এই আতাইকুলা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশা আকাংখা বাস্তবায়ন প্রতিফল হবে। জনদুর্ভোগের হাত থেকে আতাইকুলা থানাবাসী অনেকাংশে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ্। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা: উক্ত থানার কার্যক্রম পরিচালিত করতে আতাইকুলা থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তাকে তিনটি উপজেলা সদরের দারস্থ হতে হয় প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচলানার ক্ষেত্রে। প্রতিটি উপজেলা সদরের দুরত্ব ২০-৩৫ কিঃমিঃ হওয়ায় থানাটির পক্ষে আইন শৃংখলা কার্যক্রম পরিচালিত করা দূরহ হয়ে পড়ছে। ফলে এই বিশাল জনগষ্ঠি দুর্ভোগ লাঘবের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অধিক। ফলে আতাইকুলা থানা অধিক জনগষ্ঠি অসুবিধা লাঘব কল্পে অবিলম্বে উপজেলা বাস্তবায়ন করে এই জটিল প্রশাসনিক কার্যক্রম সহজতর করার আশু প্রয়োজন। প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা ১. আতাইকুলা থানার প্রতিটি ইউনিয়ন ও বহু গ্রাম তাদের স্ব-স্ব উপজেলা সদর হতে ২০ হতে ৩৫ কিঃমিঃ দুরে ও প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। ফলে প্রয়োজনের সময় এলাকার জনসাধারেেণর উপজেলা সদরে পৌঁছাইতে সময় ও কষ্টসাধ্য তেমনি ব্যয়বহুল। যেমন লক্ষীপুর ইউনিয়নের জনগন উপজেলা সদর আটঘড়িয়া যেতে আতইকুলা হয়ে পাবনা সদরের উপর দিয়ে পৌঁছাইতে হয় ফলে দিনের কার্যক্রম করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্ত আতাইকুলা থানার সাথে যোগাযোগ সহজতর। ২. আতাইকুলা বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার ঐতিহ্যবাহি একটি হাট। বিট্রিশ আমলে আকাশবানী কলকাতা বেতার, দিল্লী বেতার, লাহোর রেডিও ও ঢাকা বেতার কেন্দ্র হতে এই হাটের পন্য সামগ্রির মুল্য তালিকা ঘোষনা করা হত। বাংলাদেশের তাঁত শিল্প পন্য, কৃষিজাত পণ্যাদি দেশের অন্যতম উদপাদন ও বিপনন কেন্দ্র। বর্তমানেও বাংলাদেশের অনেক বেতার কেন্দ্র ও টিভি চ্যানেল উক্ত হাটের পন্য তালিকার মূল্য ঘোষনা করে থাকে। ইহা বহুল পরিচিত একটি বানিজ্য কেন্দ্র। আতাইকুলা হাট ছাড়াও এখানে বনগ্রাম হাট, পুষ্পপাড়া হাট, তেবাড়ীয়া হাট, দুবলিয়া হাট, শ্রীকোল হাট, মাধপুর হাট, ভুলবাড়ীয়া হাট, গঙ্গারামপুর হাট, আড়িয়াডাঙ্গী হাটসহ অনেক ছোট বড় হাট বাজার বিদ্যমান। এছাড়া এখানে ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, কামিল মাদ্রাসা, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান, স্কয়ার গ্রæপ, সরকার গ্রæপ, আকিজ গ্রæপসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে থানা সদরেরয়েছে। আগামামী ১২০ দিনের কর্মসুচি: ১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে স্বারক লিপি প্রদান। ২. স্থানী সরকার ও জন প্রশাসন মন্ত্রী বরাবর স্বারক লিপি পেশ। ৩. জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে। ৪. আতাইকুলা থানাধীন বনগ্রাম হতে পুষ্পপাড়া পর্যন্ত ঢাকা পাবনা হাইওয়ে রোডে মানবন্ধন। ৫. আতাইকুলাবাসীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণ। ৬. পাবনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজন করা হবে।
উক্ত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন-মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় সংসদ,মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড,পাবনা সমিতি,ঢাকাস্থ সাথিয়া উপজেলা সমিতি,পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ,আতাইকুলা থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ ও আতাইকুলা প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।