বাপেক্স এর এমডি বড়ই ক্ষমতাধর! যার কাছে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশও হয় অকার্যকর

0
107

বাপেক্স এমডি মোহাম্মদ আলীর চাহিদাকৃত জন প্রতি ২লক্ষ টাকা করে না দেওয়ায় ২০১৭ সাল থেকে ঝুলে আছে ৩৫ জন কর্ম চারীর চাকুরী স্থাযীকরণ। মহামান্য সুপ্রীম কোটের নির্দেশনা অমান্য করে বহাল তবিয়তে স্বপদে গর্ব করেন বাপেক্সের এমডি মোহাম্মদ আলী । দুর্নিতির আরেক চিত্র বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানী লিমিটেড (বাপেক্স)। সরকারী প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা প্রজেক্ট বাপেক্স এমডি মোহাম্মদ আলীর বিভিন্ন দুর্নিতির চিত্র থাকার পরেও তার কোন প্রতিকার নেই,তার কাছে সকলেই অসাহায়! এমনকি মাহামন্য সুপ্রীম কোর্টের আদেশ অমান্য করে চলছেন অবলীলায়। সুপ্রীম কোট কর্তৃক কন্টেম্পট পিটিশন নং ৮১/২০২১ হওয়ার পরেও তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, ভাবখান এমন যেন কিছুই হবেনা তার । এক পর্যায়ে মাহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এর কাছে ৪ সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেও আজও সেই অর্ডার বাস্তবায়ন করেনি। বিশ্বস্ত সুত্রে প্রাপ্ত জনপ্রতি এমডি’র চাহিদাকৃত ২ লক্ষ্ করে টাকা না দিতে চাইলে এই ৩৫ জনের চাকুরী স্থায়ীকরণ করছেনা বলে জানা যায়। চাকুরী প্রার্থীরা ২০১৫ সাল থেকে চাকুরী হারা হয়ে মানবেতন জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের প্রশ্ন কোথায় এমডি’র খুটির জোর? উক্ত বিষয়ে এমডি মোহাম্মদ আলীর সাথে কাথা হলে তিনি জানান কোর্ট যে রায় দিবেন তিনি সেটা, মেনে নিবেন। পূর্ব রায়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কথাকে পাশ কাটিয়ে চলমান আরও কয়েকটি মামলার রেফারেন্স দেন। জনপ্রতি ২ লক্ষ টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। মামলা চলমান থাকার পরে ঐ পদগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান যে, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে ঐ ৩৫ জন কে সুযোগ দেওয়ার কথা লেখা আছে। বিচারাধীন কোন বিষয়ে নিস্পত্তি না করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদ্ উত্তর দিতে পারেননি। যেহেতু এটি পেট্রোবাংলার প্রজেক্ট তাই এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বিষয়টি জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানা যে, না এ বিষয়ে তিনি জানেন না।

উক্ত বিষয় নিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যনের কাছে জানতে বিভিন্ন সময় তার ব্যাক্তিগত এবং অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করা হলেও তার সাথে কন্টাক্ট করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সরাসরি সাক্ষাত করতে গেলে চেয়ারম্যান এর পি.এস দপ্তর থেকে পিআরও সাহেবের সাথে দেখা করতে বলেন। সে অনুযায়ী পিআরও সাহেবের সাথে দেখা করে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে জানেনা এবং চেয়ারম্যান এর সাথে দেখা করে জেনে নিতে পরামর্শ দেন। পুনরায় পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান এর সাথে দেখা করতে যাওয়া হলে পিএস আব্দুর রব জানান তিনি মিটিং এ ব্যাস্ত এখন সময় দিতে পারবেনা না। পিএস আব্দুর রব কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন আপনারা না জেনে কথা বলেন,সব জেনে তার পরে আসেন । হাতে সকল ডকুমেন্ট থাকার পরে না জানার ভান করে জানতে চাইলে তিনি একপ্রকার উত্তোজিত হয়ে উঠেন এবং বলেন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের অনেক সুযোগ রাখা হয়েছে। তাকে প্রশ্ন করা হলে যে, সুপ্রীম কোর্ট এ বিচারাধীন বিষয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার অধিকার আছে কিনা তাতে বাজে মন্তব্য করেন যাহা অশোভনীয় আচরণ। তার কথায় প্রতিয়মান হয় যে, উক্ত ৩৫ জনের চাকুরী স্থীয় করণের বিষয়ে ফাইলপত্র পিএস. আব্দুর রব এবং বাপেক্স এর এমডি যোগসাজেশে কিছু ঘাপলা আছে যেটি চেয়ারম্যান জানেন না এবং চেয়ারম্যানে সাথে কাউকে যোগযোগ করতে দিতে চান না।
২০০৫ সালে বাপেক্সে ১৫টি পদে ১৪২ লোকবল নিয়োগ দেন । উক্ত ৩৫ জন সেই ১৪২ জনেরই অংশ। প্রজেক্টের চাকুরী ১০ বছর করার পরে উক্ত ৩৫ জন কর্মচারী চাকুরী স্থীয়ী করনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট রিট পিটিশন করেন যার নং-১৩৭৮৫/১৫ দীর্ঘ শুনানী শেষে ২৯.০১.২০১৭ সুপ্রীম কোর্ট ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের চাকুরী স্থীয়ী করনের অর্ডার প্রদান করেন। যেহেতু ঐ ৩৫ জন দীর্ঘ ১০ বছর ঐ প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছিলেন। মাহমান্য সুপ্রীম কোর্ট’র আদেশ বাস্তাবায়ন করার অর্ডার হলে বাপেক্স তাদের স্থায়ীকরণে পুনরায় যাচাই-বাছাই করার জন্য ৫ সদস্যের একটি রিভিউ কমিটি গঠন করেন। উক্ত ৩৫ জন ১০ বছর চাকুরী করার পরেও তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের নামে সময়ক্ষেপন করেন। রিভিউ কমিটি যার সূত্র নং-১১৪/৩০/১৯২/৩৮১, তারিখ- ২৫.০১.২০২১ এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সূত্র নং-২৮.০৯,০০০০.০১৭.১১.০০১.২১, তারিখ ১৬.০৫ ২০২১ এর মাধ্যমে যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে স্থীয়ী নিয়েগের ব্যবস্থা করার জন্য। উক্ত কমিটি দুটি ০৬.০৭.২০২১ এ ৩৫ জনের চাকুরী স্থায়ী করনের প্রতিবেদন বাপেক্স এর এমডি বরাবর পেশ করেন যা ১৮.০১,২০২২ এমডির দপ্তর রিসিভ করেন। অপরদিকে মাহামান্য সুপ্রীম কোর্ট’র অর্ডার বাস্তবায়ন করা না হওয়ায় ১০.০১.২০২২ মাহামান্য সুপ্রীম কোর্ট থেকে বাপেক্স এর এমডি’র রিরুদ্ধে কোর্ট অবমাননার নোটিশ প্রেরণ করেন।বাপেক্স এর এমডি ঐ ৩৫ জন কর্মচারীর চাকুরী স্থায়ী করণে মাহামান্য হাইকোর্ট’র কাছে পুলিশ ভেরিফিকেশন এর জন্য আবেদন করেন। বাপেক্সের এমডির আবেদনে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট ৪ সপ্তাহের সময় দেন। সে মোতাবেক বাপেক্স এর মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) পুলিশের অতিরিক্ত আইজি,বাংলাদেশ পুলিশ,স্পেশাল ব্রাঞ্চ,রাজারবাগ,ঢাকা বারাব উক্ত ৩৫ জনের চাকুরী স্থায়ী করার লক্ষ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য সূত্র নং-২৮.০৯.০০০.০১৭.১১.০০১.২২/১৪,তারিখ-২০.০১.২০২২ পত্র প্রেরণ করেন। পত্র মোতাবেক রাজারবাগ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে সূত্র নং-৪৪.০১.০০০০.০০০.০৬.৫১.২০২২ (এল)১২৬৭, তারিখ- ০১.০৩.২০২২ অনুযায়ী ৩৫ জনের মধ্যে ৩০ জনের প্রতিবেদন সঠিক যাচাই ৪ জনের প্রতিবেদন আপত্তি এবং ১ জনের প্রক্রিয়াধীন রিপোর্ট দিয়ে প্রতিবেদন পেশ করেন। এতদসত্ত্বেও বাপেক্স এর এমডি উক্ত নিয়োগের বিষয়ে টালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করছেন এবং বিভিন্ন মাধ্যমে জনপ্রতি দুই লক্ষ টাকা প্রদানের চাউর শোনা যায়। মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট’র অর্ডার বাস্তবায়ন না করে উল্টো উক্ত বিচারাধীন পদগুলোতে ৬ জুন/২২ দৈনিক সমকাল পত্রিকায় ৩৫ জন লোকবল নিয়োগের নিমিত্তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। একদিকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট’র অর্ডার অবমাননা এবং চলমান মামলাকৃত পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর সামিল। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টর রায় এবং পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ার পরেও কেন তারা চাকুরীতে যোগদান করতে পারছেন না? ২০১৫ সাল থেকে চাকুরী হরা হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন? ভুক্তভোগীরা বলেন মহামান্য সুপ্রীম কোর্টর অর্ডার যদি বাস্তবায়ন না হয় তবে আমরা আর কোথায় যাবো? বাপেক্স এর এমডি কোন খুটার জোরে দেশের সর্বচ্চ আদলত সুপ্রীম কোর্ট অবমাননা করে সরকার ও সরকারী প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তীকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন সে বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখার এবং তাদের চাকুরী স্থায়ী করনের বিষয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামান করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে