
করোনা মহামারির কারণে গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা বড়ো ধাক্কা খেয়েছিলো। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার প্রক্রিয়া ভালোভাবে শুরু না হতেই রু-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় সে কারণেই সৃষ্টি হয় নতুন করে ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এর ফলে পুরো পৃথিবীই এক গভীর সঙ্কটে পড়ছে। উনিবিংশ শতাব্দির দ্বিতীয়ার্ধে এবং বিংশ শতাব্দির শুরুর ভাগে যখন রবীন্দ্রনাথ লোকহিত নিয়ে ভেবেছেন এবং সেই ভাবনার জায়গা থেকে নানামুখী সামাজিক ও অর্থনৈতিক,কল্যানমুখী উদ্যোগ নিয়েছেন তখনও বিশ্ব বহুমুখী পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো।
দুটি শতাব্দির সম্মিলন কালে দুটি বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমের পৃথিবীর উন্নত জীবনাচরণ এবং ভারতবর্ষে অভাব-অনাটনের সমাজ-এ দুটোকেই খুব কাছে থেকে গভীরভাবে দেখছেন রাবীন্দ্রনাথ। তাই তাঁর সে সময়কার ভাবনা ও কর্মগুলোতে একই সঙ্গে বৈশ্বিক ও স্থানিক অভিজ্ঞার সংশ্লেষ দেখা যায়। আজকের বৈশ্বিক সঙ্কটের সময়ও তাঁর সেই চিন্তা-ভাবনাগুলো আগের মতোই প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট
সময়কার ভাবনা ও কর্মগুলোতে একই সঙ্গে বৈশ্বিক ও স্থানিক অভজ্ঞিতার সংশ্লেষ
দেখা যায়। আজকরে বৈশ্বিক সঙ্কটের সময়ও তাঁর সেই চন্তিা-ভাবনাগুলো আগরে মতোই প্রসঙ্গিক রয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর অধ্যাপক ড.আতিউর রাহমান। ১৮ই জুলাই ২০২২ কলকতায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচিত্রা ভবনে রবীন্দ্রনাথের লোকহিত চিন্তা ও সমকালীন সমাজ বাস্তবতা শিরোনামে বিশেষ বক্তিৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালযৈর সম্মানিত উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ড.আতিউর রহমান বলেন যে, আজকের উন্নয়ন গবেষক ও নীতিনির্ধারকরা এসডিজি বাস্তবায়নের মূলমন্ত্র হিসেবে বলছেন “কাউকে পেছনে রেখে এগুনো যাবে না”
রবীন্দ্রনাথও বলে গছেনে “পশ্চাতে রখেছেো যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানছি।ে”র্অথাৎ,
রবীন্দ্রনাথ যভোবে সমাজ ও লোকহতি নয়িে ভবেছেনে তা ছলি তাঁর সময়রে প্রায় শতর্বষ
পররে সঙ্কট ও সম্ভাবনার মুখোমুখি হওয়ার যোগ্য। শক্ষিা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও সংস্কৃতরি
মতো যে বষিয়গুলো সাধারণ মানুষরে জীবনকে র্স্পশ করে সগেুলো নয়িে রবীন্দ্রনাথরে
ভাবনা ও উদ্যোগগুলো গভীর অর্ন্তদৃষ্টমিূলক এবং সুদূরপ্রসারী ছলিো বলে মনে করনে
ড. আতউির রহমান। তনিি আরও বলনে য,ে খুব কাছে থকেে সাধারণ মানুষকে দখেে তাদরে
দুঃখ-দন্যৈগুলোকে গভীরভাবে অনুভব করে তা নয়িে লখোলখেি ও প্রাতষ্ঠিানকি উদ্যোগ
নয়িছেলিনে বলইে সমকালীন উন্নয়ন ভাবনাতওে রবীন্দ্রনাথ একই রকম গুরুত্বর্পূণ হয়ে
আছনে। তনিি আরও বলনে যে রবীন্দ্র চতেনায় অনুপ্রাণতি বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন কৌশলও
ছলি অর্ন্তভুক্তমিূলক এবং সাধারণ মানুষরে কল্যাণর্ধমী। সভাপতরি ভাষণে উপার্চায
অধ্যপক সব্যসাচী বসু রায় চৌধুরী রবীন্দ্র ভাবনায় শক্ষিার গুরুত্ব এবং গ্রামীণ
উন্নয়নরে নানা দকি নয়িে গবষেণা ও প্রকাশনার জন্য ড. রহমানরে ভূয়সী প্রশংসা করনে।
বক্তৃতার আগে মাননীয় উপার্চায বশ্বিবদ্যিালয় জাদুঘরটি তাঁকে ঘুরে দখোন।