বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে গ্রামপুলিশ বাহিনীর সমাবেশ

0
120

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ১৯ জুন ২০২২, রবিবার, সকাল ১১টায় বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে গ্রামপুলিশ বাহিনীর এক সমাবেশ শহীদ কর্ণেল তাহের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।৫ দফা দাবীঃ গ্রামপুলিশদের জীবনমান উন্নয়নে বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন প্রদান ও জাতীয় বেতনস্কেলের অন্তর্ভূক্ত করন, গ্রামপুলিশদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে প্রশাসনিক ইউনিট ঘোষণা, সরকারী অন্যান্য বাহিনীর ন্যায়, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, ঝুঁকি ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার ব্যবস্থা করণ, অন্যান্য কর্মচারীর ন্যায় অবসর ভাতাসহ ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাঈমুল হাসান জুয়েল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি ঐক্য পরিষদের অন্যতম নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, গ্রামপুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়ন প্রধান সমন্বয়কারী শাহজাহান কবির জহীর, বাবু ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, গ্রামপুলিশ বাহিনী কর্মচারী ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি মাসুম খান, সহসভাপতি আলী আব্বাস, মোঃ আবুল কাশেম, শাহজাহান সর্দার, আব্দুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সর্দার, যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, আব্দুল মান্নান খান, আব্দুল জলিল, বদিউল আলম, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সত্য নারায়ণ দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা, রীনা আক্তার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষ করে বলেন, বর্তমান বাজার দরের লাগামহীন উর্দ্ধগতিতে গ্রামপুলিশদের যে বেতন ভাতা দেয়া হয় এই বেতন ভাতা দিয়ে আজকের দিনে একজন মানুষের জীবনচলাও বড় কঠিন। ২০১৬ সালে আমাদের দাবির আলোকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সুপারিশক্রমে গ্রামপুলিশদের বেতন, ৬৫০০ এবং ৭০০০ টাকা উত্তীর্ণ হলেও আজকে ২০২২ সালের বাজার দরের লাগামহীন উর্দ্ধগতি ও সামাজিক বাস্তবতায় এই বেতন দিয়ে একটি পরিবার চলতে পারে কিনা তা আপনাদের বিবেচনার উপর চেরে দিলাম।গত ২৫ অক্টোবর ২০২১ গ্রামপুলিশ বাহিনীর নির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান পরিকল্পনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে গ্রামপুলিশরা তাদের সামগ্রীক সমস্যার কথা তুলে ধরেন, মাননীয় মন্ত্রী ন্যূনতম বেতন ১৪০০০ টাকা নির্ধারনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের জোর সুপারিশ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অদ্যাবধি সেটা সুপারিশ করা হলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর করা হয়নি। আমরা আশা করি সমাজের অন্যান্য কর্মচারীদের ন্যায় সামাজিক মর্যাদা নিয়ে আমরা যেন খেয়ে পরে বাঁচতে পারি, সরকার তা বিবেচনা করবেন। আমরা সরকারের কাছে বেশি কিছু দাবি করিনি। সর্বনি¤œ একটা বেতন স্কেল, পুলিশের ন্যায় রেশনিং ব্যবস্থা, অন্তত এইটুকু ব্যবস্থা হলে আমরা সামাজিক মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো। আমাদের হাজারও সমস্যা আছে তারপরও আমরা আমাদের দায়িত্বপালনে সবর্দা অতন্দ্র প্রহরির মতো কাজ করছি। সামগ্রীক দিক বিবেচনা করে গ্রামপুলিশদের জীবনমান উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।সভাশেষে গ্রামপুলিশদের শান্তিপূর্ণ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।    

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে