নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ২১ গানের রচয়িতা বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট বাংলার বিবেক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বঙ্গবন্ধুর আপনজন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর এক নাগরিক শোক সভার আয়োজন করেছে আব্দূল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ ১৮ জুন ২০২২ সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন, ঢাকাশোক সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক।
শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা দৈনিক অবজারভার এর সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক শফিউর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদুত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূইয়া, বাংলাদেশের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল এস এম নজরুল ইসলাম, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী সাবেক ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক জিয়াউর রহমান জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ জলিল, দপ্তর সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, মেহেন্দীগঞ্জ সমিতি ঢাকার সভাপতি প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সুমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর সাদেক বিপ্লব
প্রধান অতিথির ভাসনে বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বলেন মহান নেতা শেরে বাংলা জমিদারী প্রথা বাতিল করে ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ভিতরে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে দেশের মালিক বানাতে পারেন নাই। কিন্তু গাফ্ফার চৌধুরী একুশে গানের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমে জনগণকে মালিকানা করেছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে জিয়া এরশাদ দেশকে সংবিধানের বাহিরে পরিচালনা করেছে এবং অন্যায়ভাবে সাধারণ মানুষকে শাসন শোষন নির্যাতন করেছে। ইহা সংবিধান বিরোধী। তাই জাতির প্রয়োজনে জিয়া এরশাদ এর শাসন আমল অবৈধ ঘোষিত হয়েছে এবং আগামী দিনে যাতে অবৈধ ক্ষমতা দখল না করতে পারে সেই জন্য এই রায় মাইল পলক হিসেবে কাজ করবে। গাফ্ফার চৌধুরী সংবিধানের শাসন মানুষের অধিকার এবং দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনার পথ দেখানোর লক্ষ্যে কলাম লিখেছেন বক্তিতা দিয়েছেন তার কাছে বাঙালি জাতি ঋণী আগামী দিনে গাফ্ফার চৌধুরীর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণ চলবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সংবিধান গণতন্ত্র ও আইনের শাসন মেনে চলবে। তবেই স্বার্থক হবে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর আজকের আলোচনা সভা।