নিজস্ব প্রতিনিধিঃব্যাংকিং খাতে অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) সরবরাহকারী দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড.যশোদা জীবন দেবনাথ কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ব্যাক্তিগত চিঠি লিখেছিলেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ কালজয়ী গানের রচয়িতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আব্দুল গাফফার চৌধুরী। করোনা মহামারির সময় ২০২১ সালে ১২ এপ্রিল লন্ডন থেকে আব্দুল গাফফার চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী বারাবর অনুরোধ করে এ চিঠি লিখেন।
ব্যাক্তিগতভাবে লেখা ওই চিঠিতে তিনি বলেন-
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী,
দেশে করোনা যেভাবে বাড়ছে তাতে তোমার জন্য শেখ রেহানা এবং তোমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য খুব ভয় লাগে। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তোমরা যেন সুস্থ থাকো। নিরাপদ থাকো। লন্ডনে করোনার অবস্থা ভালো। আমি দুইটা টিকাই নিয়েছি। এখন আল্লাহ ভরসা। বাংলাদেশে হেফাজতিদের সাথে জামায়াতিরা গিয়ে মিশেছে। পেছনে বিএনপি। এদের এখনই দমন করো না হলে ভবিষ্যতে দেশ ও সরকারের জন্য বড় রকমের বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। আমি এই ব্যাপারে দুটি কলাম লিখেছি। জানিনা তুমি বিরক্ত হয়েছো কিনা।
আমার পরিচিত যশোদা জীবন দেবনাথ (সিআইপি, পিএইচডি)। সম্ভবত তুমিও তাকে চেন। টেকনোমিডিয়া লিমিটেডের তিনি ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি এফবিসিসিআই এর (ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। তোমার সমর্থন ও আশীর্বাদ পেলে হয়ত, এই পদটি তিনি পেয়ে যাবেন। একজন যোগ্য লোকই তাহলে পদটি পাবেন। আমি তাকে চিনি বলেই কথাটা তোমাকে জানালাম।আর শমী কায়সার ( শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে) তোমার সাথে দেখা করতে চান। তোমার এত ব্যস্ততার মাঝে তাকে একটু সময় দিলে খুশি হব। তোমার এবং শেখ রেহানা, জয়, পুতুল, ববি সকলের জন্য রইলো আন্তরিক শুভ কামনা। তুমি সুস্থ থাকো। যেন দীর্ঘ জীবন পাও।
শুভার্থী
আব্দুল গাফফার চৌধুরী

লন্ডনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ১৯ মে ভোরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। । তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। শনিবার (২৮ মে) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে কিংবদন্তী সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীকে। আবদুল গাফফার চৌধুরীর জন্ম ১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪। একজন সুপরিচিত বাংলাদেশি গ্রন্থকার, কলাম লেখক। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন। বরিশাল জেলার উলানিয়া গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল গাফফার চৌধুরী। তার বাবা হাজি ওয়াহিদ রেজা চৌধুরী ও মা জহুরা খাতুন। তিন ভাই, পাঁচ বোনের মধ্যে বড় ভাই হোসেন রেজা চৌধুরী ও ছোট ভাই আলী রেজা চৌধুরী। বোনরা হলেন মানিক বিবি, লাইলী খাতুন, সালেহা খাতুন, ফজিলা বেগম ও মাসুমা বেগম।