নিজস্ব প্রতিনিধি:-মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি থেকে দেশের উন্নয়ন বিরােধী, মুল্রাপাচারকারি, মানবপাচারকারি, অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থ লুষ্ঠনকারিও স্বাধীনতা বিরােধী সিভিকেট নির্মূল করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য বাজার উন্মুক্ত করার দাবিতে সন্মিলিত সমন্বয় ফ্রুন্টবায়রা অদ্য ১১ই মে ২০২২ খ্রিঃ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে কথিত ২৫টি এজেন্সির সিভ্ডিকেটের বাজার দখলের যড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে সকলবৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য বাজার উন্মুক্ত রাখার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানানাে হয়। সাথে সাথে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮সালে সিভ্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক রপ্তানি করার ফলে জাতির যে ক্ষতি হয়েছে তাও তুলে ধরেন। ঐ সময় শ্রমিক রপ্তানি হওয়ারকথা ১৫ লক্ষ, হয়েছে ২,৭৪,৫০০ জন।
নিশ্চিত চাকুরীর সুযােগ হারিয়েছে ১২,২৫,০০০ জন। অভিবাসন কি নেওয়ার কথা১,৬০,০০০/- টাকা, নিয়েছে ৩,৫০,০০০/- টাকা থেকে ৪,০০,০০০/- টাকা। জনপ্রতি অতিরিক্ত আদায় করেছে প্রায়২,০০,০০০/- টাকা। প্রায় ৫ (পাঁচ) হাজার কোটি টাকার উপরে পাচার করেছে। আর ব্যবসা থেকে বঞ্চিত করেছে ঐ সময়কার১২০০ রিক্রুটিং এজেন্সিকে।3.দীর্ঘ তিন বছর বাজারটা বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ই ডিসেম্বর বাজারটি পুনরায় খােলার জন্য দুই দেশ একটি সমঝােতাচুক্তি স্বাক্ষর করেন। সমগ্র জাতি আশা করেছিল চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই শ্রমিক রপতানি শুরু হবে। কিন্তু সিন্ডিকেটের অপতৎপরতারকারণে সেই আশা পুরুণ হয়নি। ২০১৬ সালে সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা ছিলাে ১০ জন, এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫ জন।কথিত ২৫ জনের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের কারণে আজও আমরা শ্রমিক রপ্তানি করতে পারছিনা। সিক্ডিকেটেরসদস্যরা শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করে পুরাে রপ্তানি প্রক্রিয়াকে নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
বত্মানে ১৭০০থেকে ১৮০০ বৈধ এজেন্সি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানি করিতেছে। কেন এবং কোন অপরাধে শত শতএজেন্সিকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ২৫ এজেন্সিকে মালয়েশিয়া শ্রমিক রপ্তানি করার অনুমতি দিবে ?বর্তমানে মালয়েশিয়ায় প্রচুর বিদেশী শ্রমিকের প্রয়ােজন। আগামী ৩ বছরে তাদের প্রয়ােজন ১৫ থেকে ২০ লক্ষ বিদেশী শ্রমিকের২৫ জনের সিন্ডিকেটের এবারের ন্যূনতম টার্গেট মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রপ্তানি করে ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়েনেয়া। গতবারের মত জন প্রতি অতিরিক্ত ২,০০,০০০/- টাকা করে আদায় করতে পারলে তারা অনায়াসে ২০ থেকে ৩০ হাজারকোটি টাকা এইবারও আদায় করতে পারবে।তাৎক্ষণিকভাবে দেশের কষ্টে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা চলে যাবে ১০ থেকে ১৫লক্ষ ভিসা ক্রয় বাবদ।
সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শ্রমিক রপ্তানি হলে প্রতিটা ভিসার ক্রয় মূল্য পড়বে ২,০০,০০০- টাকা করে। সেইহিসাবে ১০/১৫ লক্ষ শ্রমিকের ভিসার ক্রয় মূল্য এসে দাড়াবে ২০ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এবারশ্রমিক রপ্তানি হলে অভিবাসন ব্যয় সেই গতবারের মত ৩,৫০,০০০ টাকা থেকে ৪,০০,০০০ টাকা হবে।সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্টের সভাপতি ড. মােহাম্মদ ফারুক, সিনিয়র সহ-সভাপতি রিয়াজ-উল-ইসলাম ও মহাসচিবমােস্তফা মাহমুদ লিখিত বক্তব্যে ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য গুলাে তুলে ধরেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতছিলেন গােলাম মােস্তফা বাবুল, সিরাজ মিয়া, রেদোয়ান খান বােরহান সহ আরা অনেকেই।