পিরোজপুরে ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের

0
99

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরে ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলার সময় একপক্ষ থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুরসহ বাড়িঘর ও দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ডেপুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে।জানা গেছে, ডেপুলিয়া গ্রামের জনৈক কৃষ্ণ কান্ত ঘরামীর জমির ধান প্রতিবছর মাড়াই করে  আসছিল স্থানীয় শশাঙ্ক বৈরাগী ওরফে গোষাই।

শনিবার দুপুরে কৃষ্ণ কান্ত ঘরামীর বাড়িতে  মেশিন নিয়ে ধান মাড়াই করতে যায় একই এলাকার হালদার। এ নিয়ে শশাঙ্ক বৈরাগী ও বিধান হালদারের মধ্যে সে সময়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিধানকে মারধর করে শশাঙ্ক। এ ঘটনার পরে শনিবার সন্ধ্যার পরে বিধান হালদার তার বন্ধু আরাফাত, নাজমুল, ইমরান, চাঁনসহ ৮/১০ জনের একটি দল শশাঙ্ক বৈরাগী ওরফে গোষাই এর বাড়িতে হামলা করে তাকে মারধর করে।

এ ঘটনার পরে রাত ৯টার দিকে হামলাকারীরা মোটর সাইকেল যোগে বৃহস্পতি অধিকারী (বৃহস্পতি মাষ্টার) বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাদের উপর হামলা চালায় এবং কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরাফাত, নাজমুল, ইমরান, চাঁনের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বৃহস্পতি অধিকারী বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ফ্রিজ, আসবারপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে এবং কাঁসা-পিতলের মালামাল নিয়ে যায়।

এসময় আত্মরক্ষার্থে বৃহস্পতি অধিকারী তার লাইসেন্স করা বন্দুক থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। হামলাকারীরা বাড়ির আশে পাশের দোকানপাটেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।হামলায় শশাঙ্ক বৈরাগী ওরফে গোষাই, বৃহস্পতি অধিকারীর স্ত্রী অনুপমা, স্থানীয় বিপুল, সুজন এবং দিপংকর আহত হয়।বৃহস্পতি অধিকারী ভাই এডভোকেট হরেন্দ্রনাথ অধিকারী জানান, ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দুই মাড়াই মেশিন মালিকের মধ্যেকার সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জের ধরে আমাদের বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হামলা এবং ভাংচুর করা হয়েছে।

হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বৃহস্পতি অধিকারী বাদী হয়ে আজ রবিবার ২৮ জন নামীয় এবং আরও ৩০/৪০ জন অজ্ঞাত আসামী করে পিরোজপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে রবিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা রুজ হয়নি।পিরোজপুর সদর থানার ওসি আ. জ. মো. মাসুদুজ্জামান জানান, হামলা ও ভাংচুরের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা রুজ প্রক্রিয়াধীন।

ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীরা স্থানীয় দুর্গাপুর ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান নোমান মৃধার মদদপুষ্ট। তারা এলাকায় নানা ধরণের অপরাধমূলক কার্যকলাপ করে চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে