পিতৃ স্নেহে এক অসহায় পরিবারের কন্যা দান করলেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য

0
180

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার, ডিমলা থানার, মেয়ে পিংকি রায় অসহায় মেয়ের বিয়েতে এবং সনাতন ধর্ম রীতিনীতি মেনে পিতা মাতার দায়িত্ব পালন দেবদাস দম্পতি। গত ৩ মে ২০২২ রাত ১২ টায় বিবাহ লগ্নে পিতৃস্নেহে কন্য দান করে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তিনি। নীলফামারী জেলার, ডিমলা থানার, মেয়ে পিংকি রায় পিতার মৃত্যুর পর তিন বোন ও মা সহ তার মামার বাড়ি দক্ষিণ বড়ভিটা, কামারপাড়ায় , কিশোরগঞ্জ থানা সরজিত রায় (পিংকির মামার) বাড়িতে বসবাস করেন তার মামারা তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেন এবং লেখাপড়া করান অসহায় পরিবারের কথা শুনে একজন মানবাধীকার কর্ম দিলীপ কুমার রায় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য’র কাছে নিয়ে যায়। পিংকি রায়ের অসহায় পরিবারের কথা নিজ মুখের শুনে ডিআইজি দেবদাস বাবু তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন। পিংকি রায়ের পরিবার বড়ভিটার প্রদীপ রায়ের সাথে বিবাহ ঠিক করেন বিয়েতে ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য ও তার সহধর্মিণী সনাতন ধর্ম রীতি মেনে পিতার দায়িত্ব পালন করেন ও আশীর্বাদ করেন। উক্ত বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার জনাব মোখলেসুর রহমান ও তার সহধর্মিনী। কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশের সৈয়দপুর সার্কেল ,ওসি কিশোরগঞ্জরাজিব কুমার রায় তদন্ত ওসি কিশোরগঞ্জ, দিলীপ কুমার রায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী, রঘুনাথ সিংহ প্রমুখ পিংকি রায়ের পরিবার ও এলাকাবাসী এই মানবতা ও উদারতা দেখে সবাই আশীর্বাদ ও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন।

দেবদাস ভট্টাচার্য নিজ বক্তব্য- নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত কামারপাড়া গ্রামে মামাবাড়িতে বড় হয়েছে পিংকি রায়। চাপানিহাটে বাবার বড় মিষ্টির দোকান ছিল, স্বচ্ছল সংসার ছিল। ২০০৩ সালে আকস্মিকভাবে বাবার মৃত্যুর পর স্বচ্ছলতার মৃত্যু ঘটে। পিংকির বিধবা মা ছোট্ট তিনটি কন্যাসন্তান সহ ভাইয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। নিতান্ত গরীব ভাইদের বাড়ির এক অংশে আটফুট বাই বারোফুট (অনুমান) ঘরে তার অভাবের সংসার চলে। একসময় আত্মীয় স্বজনের সহায়তা নিয়ে বড়মেয়ের বিয়ে হয়। মেজোমেয়ে পিংকি কারমাইকেল কলেজে ইংরেজিতে অনার্সে ভর্তি হয়। টিউশনি করে পড়াশুনা চলত। করোনায় তা বন্ধ হয়ে যায়। একজন মানবাধিকার কর্মী দিলিপ কুমার রায় আমার কাছে পাঠায়। আমি মানবাধিকার কর্মী দিলীপ কুমার রায় এর কথা শুনে তাকে আশ্বস্ত করি।সেই পিংকি আমার কাছে স্নেহের প্রশ্রয় পেয়ে বলে, ‘ অনেক আগে আমার বাবাকে হারিয়েছি। আপনাকে ‘বাবা’ বলে ডাকি?’ আমার সম্মতিতে আমাকে সে ‘বাবা’ বলে ডাকে। গতকাল অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে মেয়েটির বিয়ে হল। ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছে। বিয়েতে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলাম। আমার সাথে এসপি নীলফামারী মোখলেছ, ভাবী সহ উপস্থিত ছিল। সৈয়দপুর সার্কেল এডি. এসপি সারোআর, ওসি কিশোরগঞ্জ উপস্থিত ছিল। রঘু, দিলীপ, এড নিপেন বাবু সহ অনেকেই ছিল।দারিদ্রক্লিষ্ট মানুষের ম্লানমুখ আমাকে ব্যাথিত করে।পিংকি এবং তার বরের জন্য অনন্ত শুভ কামনা। সর্বে ভবন্তু সুখীনঃ।।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে