নিজস্ব প্রতিনিধি:উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রাক-বাজেট সংলাপে ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সেবার জন্য মোট যে ব্যয় হয় তার ৭৩ শতাংশই আসে নাগরিকদের পকেট থেকে। বাকি ২৭ শতাংশ আসে জাতীয় বাজেটের বরাদ্দ থেকে। স্বাস্থ্য সেবাপ্রার্থি নাগরিকদের এই ‘আউট অফ পকেট কস্ট’ কমানোর জন্য জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তাই আসন্ন অর্থবছরে গতানুগতিকভাবে মোট বাজেটের ৫ শতাংশ স্বাস্থ্যে বরাদ্দ করার পরিবর্তে ৭ থেকে ৮ শতাংশ বরাদ্দ করার এবং মধ্যম মেয়াদে এই অনুপাত ১০ থেকে ১২ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণের আহবান জানিয়েছেন তিনি। আজ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে স্বাস্থ্য বাজেট বিষয়ক জাতীয় নীতি সংলাপ’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আ.ফ.ম. রুহুল হক, বাগেরহাট ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মো. আমিরুল আলম, বরিশাল ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য পংকজ নাথ, সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪৮-এর মাননীয় সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান, এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন ১১-এর মাননীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত। বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে অংশ নেন- বিআইডএস-এর মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, এবং সমাজতাত্তি¡ক খন্দাকার সাখাওয়াত আলী। আলোচনার শুরুতে উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষ থেকে মোট স্বাস্থ্য বাজেটের বরাদ্দ বৃদ্ধি বিষয়ে নীতি প্রস্তাবনার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন বাজেট এবং বিনামূল্যে বিতরণকৃত ঔষধের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন ড. আতিউর।
বিনামূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে ঔষধ বিতরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে জনগণের ওপর স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমানো যাবে বলে অভিমত দেন আরমা দত্ত, এমপি। লুৎফুন নেসা খান, এমপি বলেন যে,ম স্বাস্থ্যে উন্নয়ন বরাদ্দের বড় অংশ অব্যয়িত থেকে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে এ খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে ড. আতিউর বলেন- যে মন্ত্রণালয়গুলো উন্নয়ন বরাদ্দ ব্যয়ের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সক্ষমতা দেখাচ্ছে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এগুতে পারে। স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে আলাদা স্বাস্থ্য ক্যাডার গড়ে তোলার কথা ভাবা