নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ১১ এপ্রিল ২০২২ রোজ সোমবার সকাল ১২ ঘটিকায় মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ন্যূনতম ৩৫ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ সহ ৪দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ব বৃন্দ আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাসলিমা লিমা, মানিক হসেন রিপন, ওমর ফারুক, ইমতিয়াজ হোসেন, আনোয়ারা শাকিল, ইরানে তানজির, শারমিন সুলতানা, সুমন রহমান, আমার সর্বদলীয় ছাত্র পরিষদ দীর্ঘদিন ধরেই সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির সরকারি দপ্তরে দপ্তরে এবং মিডিয়া হাউজগুলো খুরে চলছে দীর্ঘদিন ধরে চলমান এ কর্মসূচিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পিকার রাষ্ট্রমন্ত্রী আইন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী পরিকল্পনামন্ত্রী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এবং মন্ত্রিপরিষদ জনপ্রশাসন সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে ।
আমাদের ৪ দফা দাবি সমূহ ১,, সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৩৫ বছর করতে হবে।২,, নিয়োগ দুর্নীতি ও পোস্ট অফিস বন্ধ করতে হবে নিয়োগ পরীক্ষার মার্ক সহ কলা ফল প্রকাশ করতে হবে। ৩. চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করতে হবে।৪. একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বনিম্ন নিয়োগ পরীক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে গত ১৯শে আগস্ট২০২১ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন এর মাধ্যমে নামক গ্রহণসহ মূলক এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় যা সকল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্য মূলক পদ্ধতি রূপে প্রতীয়মান হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করার শুধুমাত্র যাদের বয়স ৩০+শুধু তারাই উপকৃত হয়েছে এবং 21 মাসের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ৪ মাস কারণ ব্যাকডেট এর বয়স ২৫ মার্চ ২০২০ইং আপনাকে আপনার কাছ থেকে শুনতে পারেন নির্ধারণ করে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ প্রশান্ত মোট ২১ মাস সময় ধরে হলেও এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় অক্টোবর ২০২২ এবং কার্যকর হয় সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং এবং হাতে গোনা কয়েকটি বিজ্ঞপ্তিতে
সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেগুলো বেশিরভাগ তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির ডাক দেওয়া মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণ সম্ভব হয়নি তাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই ব্যাকডেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে শুধু সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এই নিয়মের আওতায় আসবে সে সকল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি করোনাকালীন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রকাশিত হয়নি বিগত ১৭ মাসে যে অল্প কিছু সংখ্যক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল সেগুলো অধিকাংশ গুলোতেই পদ্ধতি না থাকার আবারো ৩০ বছরের উপরে চাকরি প্রত্যাশীরা আবেদন করার সুযোগ পায় নাই এবং করো না পরবর্তী সময়ে একই দিনে এবং একই সময় ২৯ টির বেশি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে যার মধ্যে লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে স্পষ্টতই বৈষম্য মজিব শতবর্ষের একটি অঙ্গীকার ছিল এ দেশের যুব প্রজন্মের জন্য আরও বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক শূন্যপদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে যেখানে বর্তমান সরকারিতে শূন্যপদ প্রায় ৪ লক্ষ (৩,৮০,৯৯৫)
বাংলাদেশের যখন demographic dividend এর সময় অতিবাহিত করেছেন এমতাবস্থায় কর্নার ভয়াল থাকা চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ প্রথম শ্রেণীর সকল জাতীয় সংসদ মাধ্যম গুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী ৮৭% কমে ১৩% উপনীত হয়েছে বেকারত্ব হার ২০% থেকে ৩৫% এ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর কারণে সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষা জীবন শেষ করতে কমপক্ষে ২-৩ বছর আমায় বেশি অতিবাহিত করতে হয় এরপরেও করোনা আবার ২ বছর কেড়ে নিয়েছে এর পরিপেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত বেকার যুবদের বয়সসীমা বৃদ্ধির ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে ২০১১ সালের অবসরের বয়সসীমা ৫৭থেকে ৫৯ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬০ বছরের উন্নীত করা হয়। কিন্তু চাকুরীতে আবেদনের বয়সসীমা ১৯৯১ সালের যখন গড় আয়ু ৫৭ ছিল তখন শেষবারের মতো ২৭থেকে ৩০ বছরের উন্নতি করা হয়। এই ৩০ বছরের গড় আয়ু ১৬ বছরের বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হলেও বৃদ্ধি হয়নি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর বিসিএস স্বাস্থ্য জুডিশিয়ারি ও বিদ্যামান কোঠা এর ক্ষেত্রে সুযোগ্য ৩২ বছর। সংবিধানে অনুযায়ী বয়স বৃদ্ধি
এখনো সময়ের দাবি দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদ অধিবেশনের জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বার বার প্রস্তাবনা এসেছে রে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে মতামত দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুইবার প্রস্তাব করা হয়েছে এরপরেও জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্য উপরোক্ত বিষয়টি পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আমরা সাধারন চাকরিপ্রত্যাশী যুবসমাজ জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর এমন সৌজন্য মূলক বক্তব্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে তার এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে সকল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি তাছাড়া এই যুবসমাজ সম্মিলিতভাবে রাজপথে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবে যার দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।