ইসলামী সমাজের আমীর- হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রচলিত সকল বাতিল ব্যবস্থার উপর ইসলামকে বিজয়ী করার লক্ষ্যেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ ও সত্য জীবন ব্যবস্থাসহ তাঁর সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন। পবিত্র রমজান মাসে আল কোরআনের অহী রাসূলের উপর অবতীর্ণ করার মাধ্যমে দীর্ঘ ২৩ বছরে আল্লাহ তাঁরই প্রদত্ত ব্যবস্থা ইসলামকে পরিপূর্ণ করেছেন এবং রাসূল মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহরই নির্দেশিত পথে মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রে উহা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইসলাম নিছক কোন ধর্মের নাম নয়! ইসলাম হলো মানব
জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন গঠন এবং পরিচালনা করার জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত প্রয়োজনীয় ও কল্যাণকর সকল আইন-বিধান সম্বলিত পরিপূর্ণ একমাত্র ব্যবস্থা। বর্তমান বিশ্বের কোন একটি রাষ্ট্রেও আল্লাহ্ধসঢ়; প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠিত নেই।

বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে দীর্ঘকাল পর্যন্ত মানব রচিত ব্যবস্থা- গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত থাকায় এবং মানুষ মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধানের আনুগত্য করে চলার কারণে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গীতৎপরতা, মাদক, গুম, খুন, নারী ও শিশু ধর্ষণ ইত্যাদি মানবতা বিরোধী অপরাধ বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। যার কারণে- আল্লাহ রাব্বুল
আলামীনের বিভিন্ন রকম আযাব-গজব মানুষের জীবনে চরম বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।আজ ১১ এপ্রিল, ২০২২ (সোমবার); সকাল ১০টায় “ইসলাম ও ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি” বিষয়ে “ইসলামী সমাজ” ঢাকা দক্ষিণ সিটির উদ্যোগে- বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায়’ সংগঠনের আমীর সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, গণতন্ত্রের নির্বাচন বা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নয়! হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি’ই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়। আর তা হচ্ছে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াতের মাধ্যমে ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন।
একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন হলেই আল্লাহ্ধসঢ়; রাব্বুল আলামীন ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তাদেরকে জমিনে খিলাফাত- রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দান করবেন। সূরা নূর এর ৫৫ আয়াতে ঈমানদার সৎকর্মশীলদেরকে খিলাফাত- রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দানের ব্যাপারে আল্লাহ্ধসঢ়; তাঁর এ ওয়াদা’র কথাই জানিয়ে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ধসঢ়; ফরমান- “আল্লাহ্ধসঢ়; প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঈমান আনবে ও সৎ কাজ করবে, তাদেরকে তিনি পৃথিবীতে ঠিক তেমনিভাবে রাষ্ট্রীয় শাসন
ক্ষমতা (খিলাফাত) দান করবেন যেমন তাদের পূর্বে অতিক্রান্ত লোকদেরকে দান করেছিলেন”।আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর নেতৃত্বে একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন হয়েছিল বিধায়; আল্লাহ্ধসঢ়; রাব্বুল আলামীন মদীনায় খিলাফাত- রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দান করেছিলেন।
এখনও আমীরের নেতৃত্বে একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন হলেই আল্লাহ্ধসঢ়;রাব্বুল আলামীন জমিনে খিলাফাত তথা রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা দান করবেন। এটাই সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদারগণের রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের পদ্ধতি। “ইসলামী সমাজ” এই পদ্ধতিতেই সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ‘ইসলামী সমাজ’ পরিচালিত ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার ‘শান্তিপূর্ণ অহিংস আন্দোলনে’ শামিল হওয়ার আন্তরিক আহŸান জানান।ইসলামী সমাজ” ঢাকা দক্ষিণ সিটির দায়িত্বশীল জনাব সোহেল এর সভাপতিত্বে এবং ঢাকাদক্ষিণ সিটি সহকারী দায়িত্বশীল জনাব আবু জাফর মুহাম্মাদ সালেহ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- “ইসলামী সমাজ” এর কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীল, জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিন, আমীর হোসাইন, নুরুদ্দিন আহমেদ, আজমুল হক, আবু বকর সিদ্দিক, সেলিম মোল্লা, সৈয়দ মুহাম্মাদ কবীর, আলী আজম আরজু ও আবু শামাহ্ধসঢ়; প্রমুখ।