নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-ইসলামী ঐক্যজোটের মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিগত নির্বাচনে জনগণ তাদের আস্থাভাজন প্রার্থীদেরকে ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট কেন্দ্রে এসে দেখে যে তাদের ভোট রাতেই দেওয়া হয়ে গেছে। নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া সঠিক নির্বাচন যে সম্ভব নয়, বিগত দু’টি নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে। রাতের ভুয়া নির্বাচনে দুর্নীতিবাজরা নির্বাচিত হয়ে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এই সরকারের উন্নয়ন হলো দ্রব্যমূল্যের উন্নয়ন। রাতের ভোটের নাটকীয় নির্বাচনই সকল জনদূর্ভোগের কারণ। আওয়ামীলীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে ১৭৩ দিন হরতাল ডেকেছিল। ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রথা বাতিল করেছে। এই সরকার ধর্ম শিক্ষাকে পরীক্ষা বিহীন করে ও মদের লাইসেন্স দেয়ার পায়তারা করে জনগণের নৈতিক চরিত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের চেতনাকে বিপন্ন করে তুলছে। কারারুদ্ধ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আলেম-ওলামাদের হাহাকার সরকারের জন্য গজবের কারণ হতে পারে। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ অন্তরবর্তী কালীন সরকারের অধিনে নির্বাচন ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিরসন ও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন বাতিলের দাবীতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তাগণ এ কথা বলেন। নেতৃবন্দ উপরোক্ত সকল গণদাবীতে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন সমূহের বৃহত্তর ঐক্য ও যুগপদ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশবাসীকে তমুল গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়াম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীনের সভাপতিত্বে ও খায়রুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এ্যাড. আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড নুরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান মাসুদ হোসেন, গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুনিম, দেশরেপ্রমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ্ শামীম, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী ফখরুল ইসলাম, রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মাও. বাজলুর রহমান আমীনী, সাম্যবাদী দল পুণর্গঠন পক্রিয়ার সদস্য আহমদ হোসেন ভূইয়া, শামছুল হক সরকার বিজ্ঞানী, মোঃ শামছুদ্দিন প্রমুখ