নিজস্ব প্রতিনিধি :অদ্য ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রতিরোধ সম্মিলিত পরিষদ কর্তৃক সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্রীয় বিধি-বিধান সম্বলিত ‘পার্সনাল ল’ পরিবর্তন বা সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক অশোক তরু-এর সভাপতিত্বে উক্ত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রী চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, রুপনুগ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, শ্রীমৎ চিন্ময় গদধর দাস ব্রহ্মচারী, অধ্যাপক হীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, এ্যাডভোকেট শংকর দাস, শ্রী সাজন মিশ্র, শ্রী শংকর সরকার, শ্রী ননীগোপাল মজুমদার, এ্যাডভোকেট সুমন কুমার রায়, দেবব্রত সরকার দেবু, এ্যাডভোকেট সঞ্জয় কুমার দে দুর্জয়, শ্রী দিপঙ্কর বেপারী এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিগত প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং কতিপয় এন.জি.ও সহ একটি বিশেষ মহল কর্তৃক হিন্দু নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার নেই মর্মে অজুহাতে তুলে হিন্দু পারিবারিক আইন পরিবর্তন বা সংস্কারের পায়তারা করে চলছে। প্রকৃতপক্ষে পারিবারিক আইন বলতে সুনির্দিষ্ট কিছু নেই, বরং যা আছে তা হলো হিন্দু শাস্ত্রীয় উত্তরাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালা যা পরিবর্তনের এখতিয়ার কারো নেই। বলা বাহুল্য, বিদ্যমান হিন্দু আইনেই স্বামীর সম্পত্তিতে স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার বিষয়ে এ বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এতে স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রী হন এ আইন মৃত স্বামীর সম্পত্তি বিধাব স্ত্রী ভোগ-দখল এবং প্রয়োজনে হস্তান্তর ও বিক্রয় করতে পারেন।
অপঃ, ১৯৭৩; ঞযব অপঃ, ১৯৫৬ প্রভৃতি আইন, যাতে হিন্দু নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার সংক্রান্ত বর্ণনা রয়েছে)। বক্তারা শাস্ত্রীয় আইন পরিবর্তন না করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন হিন্দু শাস্ত্রীয় আইন অনুযায়ী হিন্দু পারিবারিক ব্যবস্থা হাজার হাজার বছর ধরে সুষ্ঠভাবে চলে আসছে। কিন্তু ক্যুচক্রী মহল হিন্দু পরিবারের ভিতরে কলেহ ও বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য এ আইন পরিবর্তনের পায়তারা করছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এই আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে সরকার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বিভেদ সৃষ্টি করাই স্বার্থনেশী মহলের নীল নকশা মাত্র। এই বিষয়ে সরকার যদি আন্তরিক থাকে তাহলে ধর্মীয় বিভাজন বাদ দিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বোনদেরকে সম্পত্তি প্রদানের জন্য ইউনিফর্ম ফ্যামিলি কোড চালু করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।