মহত্মা গান্ধী বিট্রিশ তাড়িয়ে যে ভারতের জন্ম দিয়েছে সেই ভারতেই ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সাহায্য সহযোগিতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন…   লায়ন গণি মিয়া বাবুল

0
114

নিজস্ব প্রতিনিধি:-উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ অহিং¯্র রাজনীতির প্রবক্তা মহান ভারতের জাতির পিতা মহত্মা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধীর ৭৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ৩০ জানুয়ারী ২০২২ রবিবার বিকাল ৫ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ ৫ম তলায় ঢাকা।আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল।প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু গবেষনা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল।আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন- ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এমএ ভাসানী, কনজারগেটিভ পার্টির সভাপতি আনিছুর রহমান দেশ, কে এস পির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, ইসলামীক গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।  

প্রধান অতিথির ভাসনে লায়ন গণি মিয়া বাবুল বলেন- ইংরেজদের তাড়িয়ে উপমহাদেশকে একটি দেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন মহত্মা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী ও শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। কিন্তু পাকিস্তানের তথাকথিত জাতির পিতা জিন্নাহ ধর্ম মানে না মানুষের অধিকার দেয় না তিনি মারমুখী হয়ে হিন্দু মুসলমানদের বিরোধ সৃষ্টি করে উপমহাদেশের হিন্দু মুসলমান শিক প্রায় ১০ লক্ষ লোককে হত্যা করেছে। তখনই মহাত্মা গান্ধী দ্বিজাতি তত্ত্ব মেনে নিয়ে ভারত পাকিস্তানের দুইটি দেশ সৃষ্টি করেন। যারা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছিল তাদেরকেও জিন্নাহ নির্যাতিত করেছে এবং দেশ থেকে বিতারিত করতে চেয়েছিল। কিন্তু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তানের সংখ্যা গরিষ্ট দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের নির্বাচনে। কিন্তু জিন্নার আদর্শে অনুপ্রানিত পাকিস্তানী সামরিক জান্তা নিয়মনীতি নির্বাচন না মেনে নিয়ে বাঙালি জাতির উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বাঙালিরা বাধ্য হয় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধের পক্ষে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের নেত্রী তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাঙালিদের পক্ষ অবলম্বন করেন মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন দেন এর পিছনেই ছিল মহত্মা গান্ধী, দেশ বন্ধু চিত্ররঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাশ চন্দ্র বসু ও শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক। তাদের উপমহাদেশ হানাহানিতে বিশ্বাস করে না শান্তিতে বিশ্বাস করে। যেই স্বপ্ন দেখেছিলেন মহত্মা গান্ধী। তিনি অহিংস রাজনীতির প্রবক্তা ছিলেন আজ মহত্মা গান্ধীকে অনুসরণ করে জাতিসংঘ তার জন্ম বার্ষিকীতে অহিংস দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। মহত্মা গান্ধী দেশ বন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু, শেরে বাংলার আদর্শের দেশ গড়তে হলে বঙ্গবন্ধু যেভাবে ১৯৭০-৭১ সালে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল সেই একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার আকাংখিত বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে থাকবে না সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, ঘুষ, দূর্নীতি, মাদক, তালেবান দেশ হবে অসাম্প্রদায়িক দারিদ্র মুক্ত।  

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে