নিজস্ব প্রতিনিধি:-ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের সঠিক কারণ অনুসন্ধানে সদস্যের ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন ‘নোঙর বাংলাদেশ’। আজ ৯ জানুয়ারী ২০২২, রবিবার সন্ধায় আফতাব নগর নোঙর বাংলাদেশ এর কার্যালয়ে এই ছায়া তদন্ত কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।নোঙর বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামস কে আহবায়ক এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস কে সদস্য সচিব করে একটি ছায়া তদন্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে এ কমিটিতে যুক্ত আছেন ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি জনাব নজরুল ইসলাম মিঠু, নৌ-স্থপতি মোহাম্মদ আবু জাফর সিদ্দিকী, বিআইডাব্লিউটিএর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব তোফায়েল আহমেদ, হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক জনাব হালিম দাত খান ও সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির, এডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব জনাব শেখ রোকন, সংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব আবীর বাঙ্গালী, রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, মেরীন হাউজের প্রতিনিধী এম রহমান ডাব্লু, ক্লিন রিভার বাংলাদেশ এর সভাপতি সোহাগ মহাজন, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মোহাম্মদ মুনির হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক জনাব এম এ কে জিলানী, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সমাজ কর্মী রুকাইয়া নাজনীন, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হোসেন মাসুদ, সচেতন নাগরিক সমাজের আহবায়ক রুস্তুম খান।
নোঙর প্রতিষ্ঠাতা সুমন শামস বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৩ টায় এমভি অভিযান-১০ নামে যাত্রীবাহী লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে প্রায় ৪৯ জন এবং আহত হয়েছে শতাধিক। যা মেনে নেওয়া যায় না। এই দুর্ঘটনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে। কেন বারবার নৌদুঘর্টনা ঘটছে? এর পেছনে করা জড়িত? এবং সমাধানের উপায় কি? এ পরিস্থিতির পরিবর্তন করা জরুরী।তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিভিন্ন নদীতে ২ হাজার ৫৭২ টি নৌদুর্ঘটনায় ২০ হাজার ৫০৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছেন শত শত মানুষ। অস্থাবর সম্পদ ধ্বংস হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকার। এ বিপুল পরিমান অর্থ ও জনসম্পদ হারানো দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ৫৬৫ টি নৌ দুর্ঘটনার বিপরীতে ৮৬৩ টি তদন্ত কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করে প্রতিবেদন জমা দিলেও সেগুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি, তেমনি এগুলোর কোন সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি।এমতাবস্থায় ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান এবং নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি মুক্ত ও স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।তাই আগামী ১০ জানুয়ারী ২০২২, সেমবার প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও লেখক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি এবং বিশিষ্ঠ ব্যাক্তি বর্গের সমন্বয়ে একটি মুক্ত ও স্বাধীন ‘ছায়া তদন্ত কমিটি’গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন “নোঙর বাংলাদেশ”